মিয়ানমারে সেনা-প্রণীত সংবিধান বদলের দাবিতে বিশাল সমাবেশ

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গনে দেশের সেনা-প্রণীত সংবিধান বদলের ডাক দিয়ে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হাজার হাজার মানুষ।

>>রয়টার্স
Published : 27 Feb 2019, 07:04 PM
Updated : 27 Feb 2019, 07:32 PM

সেনাপ্রণীত সংবিধান সংশোধন নিয়ে নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র (এনএলডি) সঙ্গে সেনা আইনপ্রণেতাদের সংঘাত বাড়তে থাকার মধ্যে এ সমাবেশে যোগ দিল জনতা।

মিয়ানমারের বিতর্কিত এ সংবিধানের বদৌলতে সেনাবাহিনীর হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। বুধবার সমাবেশে যোগ দেওয়া মানুষ বর্ষীয়ান গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের ভাষণ শুনেছে। সামরিক একনায়কতন্ত্র অবসানের দাবিতে স্লোগানও দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সঙ্গীতশিল্পীরা সামনে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেন।

সু চির দল এনএলডি গতমাসে হঠাৎ করেই সেনা-প্রণীত সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধন নিয়ে কাজ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাখে এনএলডি। পার্লামেন্টে সামরিক প্রতিনিধিদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে এ পদক্ষেপ নিয়ে সংঘাতে জড়ায় দলটি।

মিয়ানমারে প্রায় তিন দশকের মধ্যে এ প্রস্তাবই সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার বিরুদ্ধে সু চির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটের সময় সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এমপি’রা এর বিরোধিতায় নীরবে উঠে দাঁড়িয়ে থাকেন।

পরে ক্ষমতাসীন দল এনএলডি’র সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। বুধবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশের এক আয়োজক বলেন, “সংবিধান সংশোধন কমিটির সমর্থনে আমরা বিক্ষোভ করছি। আমরা জনগণের পাশে আছি।”

ওদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এনএলডি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা ২০০৮ সালের সংবিধান সংশোধনে ‘ভুল পদ্ধতিতে’ এগুচ্ছে।

“সংবিধান সংশোধনে যৌথ কমিটি গঠন করা সংবিধানসম্মত নয়” বলে মন্তব্য করেন মেজর জেনারেল তুন তুন নি। তবে তারপরও সেনা-আইনপ্রণেতারা এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে বলে জানান তিনি।