শ্রীলঙ্কার নাগরিক শশীকলা বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় ওই মন্দিরে ঢোকেন।
মন্দিরে নারীদের প্রবেশ নিয়ে বিক্ষোভ ও সংঘাত-সহিংসতার মধ্যেই শুক্রবার রাতে রাজ্যে ক্ষমতাসীন সিপিএম ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই সাংসদের বাড়িতে বোমা হামলাও হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিন্নারাই বিজয়নের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
আনন্দবাজার বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে ৪৬ বছর বয়সী শশীকলা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন।
শ্রীলঙ্কান এ নারী অবশ্য বলছেন, দেবতা আয়াপ্পার মূর্তি দর্শনে সব প্রাক প্রস্তুতি শেষে শবরীমালায় গেলেও মূল ফটকের নিচে ‘পবিত্র ১৮ ধাপ’ পার হওয়ার আগেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, নিরাপত্তার কথা ভেবেই শশীকলা মন্দিরে ঢোকার কথা চেপে গেছেন।
তৃতীয় এ নারীর শবরীমালায় প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছে তারা। ভিডিওতে এক নারীকে মাথায় পূজার সামগ্রী নিয়ে মন্দিরে ঢুকতে দেখা গেছে।
কেরালার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শশীকলা নিয়ম মেনেই মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন।
বুধবার ভোরে বিন্দু আম্মিনি ও কনকা দুর্গা নামের দুই নারীর শবরীমালায় প্রবেশের পর তাদেরকে বের করে দেওয়া ও ‘শুদ্ধিকরণ’ করার ঘটনায় পুরোহিত কান্ডারারু রাজীবারুকে কারণ দর্শাতে বলেছে ত্রাভাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি)।
মন্দিরটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এ বোর্ডের সভাপতি এ পদ্মকুমার বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর এ ধরনের ঘটনা আদালত অবমাননার শামিল।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বৃহস্পতিবার আদালতের রায় পছন্দ না হলে শবরীমালার পুরোহিতকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতেও পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বিন্দু ও কনকার মন্দিরে প্রবেশের ঘটনায় উত্তাল ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে এখনো বিক্ষিপ্ত সহিংসতা অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
তিনদিনের ঘটনায় এরই মধ্যে আট শতাধিক মামলায় প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার রাতে কান্নুর জেলার থালাসারি শহরে সিপিএম বিধায়ক এন শমসেরর বাড়িতে বোমা হামলা হয়। এ সময় শমসের বাড়ি ছিলেন না বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ঘটনার জন্য কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) দায় দিয়েছেন এ বামনেতা। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই একই শহরে বিজেপি সাংসদ ভি মুরালিধরনের পৈত্রিক বাড়িতেও বোমা হামলা হয়।
মুরালিধরন এ সময় বাড়িতে থাকলেও তার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।