প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মায়ানমার-চীন সীমান্তে ওই দুর্ঘটনা হয় বলে জানিয়েছে তারা, খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
দুর্ঘটনায় আহত পরেশ বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দিন দুয়েক আগে তার মৃত্যু হয় বলে দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের।
উলফা বা পরেশের পরিবারের তরফ থেকে এখনো এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।
আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন উলফার এ শীর্ষ নেতা গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার-চীন সীমান্তের রুইলির আশপাশেই বসবাস করছিলেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
আনন্দবাজার বলছে, আসাম পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা পরেশের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর শোনার কথা জানিয়েছিলেন, এবার ভারতের সেনা গোয়েন্দা সূত্রও একই কথা বলছে।
সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করা এক উলফা যোদ্ধা তাদের কমান্ডার ইন চিফের ‘শারিরীক অবস্থা বেশ খারাপ’ বলে জানিয়েছিলেন। পরেশ বড়ুয়া বেশ কিছুদিন ধরে বহুমূত্র রোগে ভুগছিলেন বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
২০০৪ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে উদ্ধার হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এ উলফা নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় আছে।
ওই বছর ১ এপ্রিল রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ সেসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক করে।
চীনে তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে উলফার জন্য আনা হয়েছিল বলে পরে তদন্তে উঠে আসে; অস্ত্রের এ চালান বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।