বিভিন্ন দলের আপত্তির মুখে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে এ সংক্রান্ত খসড়া বিলের সংশোধনীটি আটকে গিয়েছিল।
ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সেখানে তা পাস করাতে না পেরে সোমবার এ নির্বাহী আদেশে অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
আদেশে তিন তালাক আইন নামে পরিচিত মুসলিম ওমেন (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) বিল ২০১৭-র যে তিনটি বিধান নিয়ে বিতর্ক চলছিল তাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ইসলামী রীতি অনুযায়ী, কোনো পুরুষ মুখে তিনবার ‘তালাক’ শব্দ উচ্চারণ করেই তাৎক্ষণিকভাবে তার স্ত্রীকে ত্যাগ করতে পারেন।
ভারতের এ নির্বাহী আদেশের প্রথম পরিবর্তনে নারী কিংবা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের স্বামীর এ তাৎক্ষণিক তিন তালাকের বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্বামীর সঙ্গে পরে সমঝোতা হলে স্ত্রীকে মামলাটি তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় সংশোধনীতে।
স্ত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ শোনার পর বিচারককে স্বামীর জামিনে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার তৃতীয় সংশোধনীতে দেওয়া হয়েছে।
ডিসেম্বরে বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে সংশোধিত এ আইনটি নির্বাহী আদেশে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
লোকসভায় বিলটি পাস হলেও শাস্তি ও জামিনের বিধানের বেশ কয়েকটি বিষয়ে কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধীদের আপত্তির মুখে রাজ্যসভায় তা আটকে গিয়েছিল।
নতুন আইনের ফলে তিন তালাকের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তার তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করতে হবে। পুলিশ চাইলেও অভিযুক্তকে জামিন দিতে পারবে না, এ এখতিয়ার থাকছে কেবলমাত্র বিচারকের।
সংশোধিত আইনে ‘নিকাহ হালালা’ বিধানেরও উল্লেখ রয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট নারী ডিভোর্সের পরে অন্য কাউকে অথবা ইচ্ছে হলে নিজের স্বামীর কাছে ফিরে গিয়ে তাকে পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন।