কেরালায় ভয়াবহ বন্যা: ৩১০০০ ত্রাণশিবিরে, নিহত ৩৭

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে; ৩১ হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2018, 02:51 PM
Updated : 11 August 2018, 03:11 PM

রাজ্যটির ১৪টি জেলার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এনডিটিভির।

ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে কৃষিজমিগুলো নষ্ট হয়েছে এবং দুর্যোগের কারণে বহু লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কেরালা রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (কেএসডিএমএ) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক হাজার ৩১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩১ হাজার লোক ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

আটটি জেলায় বিভিন্ন মাত্রার উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

এর আগে অন্য আরেক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, ২৯ মে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪২ কোটি রুপি মূল্যমানের ২৬ হাজার ৮২৪ হেক্টরের ফসল বিনষ্ট হয়েছে।

বৃষ্টি কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন কেএসডিএমএ-র প্রধান ও রাজ্যটির শীর্ষ আমলা পিএইচ কুরিয়ান।

তিনি বলেছেন, “বড় জলাধারগুলোর অববাহিকা এলাকায় আজ কোনো বৃষ্টি হয়নি। তা সত্বেও আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সতর্কতা ও উদ্যোগ বজায় রাখবো আমরা।”

ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পর্যালোচনা করতে রোববার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পানির চাপে বাঁধ ভেঙে যাওয়া এড়াতে ২৫টি জলাধারের গেট খুলে দেওয়ার নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে কেরালার কর্তৃপক্ষ।

আবহাওয়া বিভাগ ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলের নিচু এলাকাগুলো বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে।

এ সময়ে মধ্যে রাজ্যের জেলেদের আরব সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১৯২৪ সালে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পর ৪৪টি নদীর এ রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল।