অ্যাপের সাহায্যে সহজেই জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে পেরেছেন সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
বিরোধী পক্ষ যাতে অনুকরণ করতে না পারে সেজন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচারের নতুন এ পন্থা সুকৌশলে গোপন করতেও সক্ষম হয়েছে পিটিআই।
দলের কয়েকজন কর্মী ওই অ্যাপ ব্যবহার করে কিভাবে তারা নির্বাচনী প্রচারে বিপ্লব এনেছেন তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেখিয়েছেন।
ফোনের ওই অ্যাপটি বিশেষ করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্র খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। যেখানে ভোটের দিন সরকারের নিজস্ব ‘টেলিফোন তথ্য সেবা’ ঠিকমত কাজ করেনি। যে কারণে ভোটকেন্দ্র খুঁজে পেতে অনেক ভোটারকে বেগ পেতে হয়েছে।
‘কন্সটিটিউনসি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (সিএমএস) নামে ওই অ্যাপটি নিয়ে কাজ করা পিটিআই দলের প্রধান বহার আমির মুঘল বলেন, “এটি দারুণ কাজ করেছে।”
পিটিআই এর টিকেট নিয়ে ইসলামাবাদে জয়লাভ করা আসাদ উমরের ব্যক্তিগত সহকারী আমির। আসাদ পাকিস্তানের হবু অর্থমন্ত্রী বলে জানায় রয়টার্স।
আমিরের নেতৃত্বেই ছোট একটি দল সিএমএস অ্যাপ নিয়ে কাজ করেছে। সিএমএস ইউনিট অত্যন্ত গোপনে পুরো পাকিস্তান জুড়ে কাজ করেছে।
তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গেছে, ভোটারদের কাছ থেকে পিটিআই কে ভোট দেওয়ার ‘প্রতিশ্রুতি আদায়’ করেছে, তাদেরকে অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং ভোটের দিন তারা যেন ভোট দিতে যান তাও নিশ্চিত করেছে।
ভোট গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পর পিটিআই প্রার্থী আমির রয়টার্সকে বলেন, “ওই অ্যাপের কারণে আমরা কয়েক দিনের কাজ এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে পেরেছি।” ইমরান খান একে ‘বিপ্লব’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তার কথায়, ‘‘এ নতুন পদ্ধতি দলের বিপ্লব ঘটাতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। সাধারণ ভোটারের কাছে পৌঁছানো সহজ হয়েছে। দলীয় নীতি সহজে সাধারণের কাছে তুলে ধরা গেছে। এতে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে।’’
গত ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে পিটিআই ১১৫টি আসনে জয়লাভ করেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও দলটি ছোট দল ও স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
আগামী ১১ অগাস্ট ইমরান পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন।