ইঞ্জিনে ত্রুটি: ইন্ডিগো, গোএয়ারের ৬৫ ফ্লাইট বাতিল

ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার পর ৬৫টি ফ্লাইট বাতিল করেছে ভারতের সাশ্রয়ী বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো ও গোএয়ার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2018, 12:04 PM
Updated : 13 March 2018, 01:38 PM

মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে দুই বিমান সংস্থা এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর যারপরনাই বিপাকে পড়েছেন ইন্ডিগোর ৪৭টি এবং গোএয়ারের ১৮টি ফ্লাইটটের শতশত যাত্রী।

ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় সোমবারই ১১টি এয়ারবাস এ৩২০-নিও উড়োজাহাজের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ইন্ডিগোর আছে ৮টি ও গোএয়ারের ৩টি।

মন্ত্রণালয়ের অধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিএয়েশন (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে জানায়, যাত্রী নিরাপত্তায় ঝুঁকি থাকায় বিমান চলাচলে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির (পিডব্লিউ) ১১০০ ইঞ্জিনযুক্ত ১১টি এ৩২০ উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হল।

এই সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইন্ডিগো এবং গোএয়ার। কারণ কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ ও বেঙ্গালুরুসহ একাধিক শহর থেকে প্রতি দিন প্রায় এক হাজার ইন্ডিগোর বিমান ছাড়ার কথা ছিল।

এই সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবার গুরগাঁওভিত্তিক ইন্ডিগোর ওয়েবসাইটে ৪৭টি ফ্লাইট বাতিলের কথা জানানো হয়। পিটিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গোএয়ার ১৮টি ফ্লাইট বাতিলের কথা জানায়।

গুরগাঁওভিত্তিক ইন্ডিগো প্রতিদিন বিভিন্ন শহর থেকে হাজারের বেশি ফ্লাইট চালায় এবং গোএয়ার চালায় ২৩০টি ফ্লাইট। নিষেধাজ্ঞার ফলে আপাতত ১১টি বিমান উড়ান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই এতে বিপত্তিতে পড়েছেন অংসখ্য যাত্রী। পরিস্থিতি সামলাতে ওই যাত্রীদের অন্য বিমানে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিগো।

ইন্ডিগোর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাড়তি খরচ ছাড়াই যাত্রীদের অন্য বিমানে করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটও তারা বাতিল করতে পারবেন। 

সোমবার লখনউগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানের ইঞ্জিন মাঝআকাশে বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আহমেদাবাদে জরুরি অবতরণ করেন বিমানচালক। এর পরেই নড়েচড়ে বসে ডিজিসিএ; ওই ধরনের ত্রুটিযুক্ত ইঞ্জিন রয়েছে এমন বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা।

তবে ঠিক কত দিন পর্যন্ত ডিজিসিএর এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে রয়েছে ওই দুই বিমান সংস্থা।

আনন্দবাজারে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইঞ্জিন নির্মাতা কোম্পারি প্র্যাট অ্যান্ট হুইটনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইঞ্জিনের ত্রুটি দূর করার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে তারা।

নিষেধাজ্ঞা জারির পর গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন ডিজিসিএ কর্তৃপক্ষও। সংস্থারটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে প্র্যাট অ্যান্ট হুইটনিসহ ওই বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে মিলে গোটা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে।