বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কার্ফু ফের বহাল করা হতে পারে বলে এক সামরিক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রোববার শহরটির দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে ঝগড়ার জেরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। বৌদ্ধ দাঙ্গাকারীরা একটি মসজিদ ও মুসলিম মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে ক্যান্ডির পরিস্থিতি শান্ত ছিল বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।
মেজর জেনারেল রুকমান ডিয়াস বলেছেন, “পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গত ১২ ঘন্টায় কোনো বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।”
সন্ধ্যায় ক্যান্ডিতে ফের কার্ফু বহাল হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিল কয়েকটি কট্টরপন্থি বৌদ্ধ গোষ্ঠী। পাশাপাশি বৌদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলো ভাংচুরের জন্যও মুসলমানদের দায়ী করে আসছিল তারা।
গতবছরের শেষে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে মুসলমান রোহিঙ্গারা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করলে তাতে আপত্তি জানিয়ে সরব হয়ে উঠে দেশটির কয়েকটি বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী।
এসব নিয়ে দেশটিতে এ দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এরকম এক পরিস্থিতিতেই ক্যান্ডিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে ও দাঙ্গার উস্কানি রোধ করতে তিন দিনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ভাইবার ও হোয়াটঅ্যাপ ব্লক করে দেয়।
তারপরও বুধবার কার্ফু চলার মধ্যেই ক্যান্ডিতে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক জন নিহত ও আরও তিন জন আহত হন।
শ্রীলঙ্কার দুই কোটি ১০ জনসংখ্যার মধ্যে নয় শতাংশ মুসলিম। জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বৌদ্ধ এবং ১৩ শতাংশ তামিল যাদের অধিকাংশই হিন্দু।