মাঝ আকাশে অল্পের জন্য সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই উড়োজাহাজ; ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া ও নেপাল এয়ারলাইনসের ফ্লাইট দুটিই কাঠমান্ডুতে যাচ্ছিল।
নেপালের কাঠমাণ্ডুর আকাশসীমায় খুব কাছাকাছি দূরত্বে চলে আসার পর একটি উড়োজাহাজ দ্রুত আরও নিচে নেমে গেলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয় বলে পিটিআই এর বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।
উড়োজাহাজ দুটিতে কতজন যাত্রী ছিল তাও প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার সকালে নয়াদিল্লি থেকে কাঠমান্ডুর পথে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি ১৯ হাজার ফুট থেকে ১৫ হাজার ফুটে নেমে আসছিল। সেসময় কুয়ালালামপুর থেকে নেপাল এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটিও একই অবস্থান থেকে ল্যান্ড করতে চাইলে কাছাকাছি নজরসীমার মধ্যে চলে আসে। এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।
পরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের রাডারে ধরা পড়ার পর দ্রুতই নেপাল এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ ৩২০ উড়োজাহাজটি ৭ হাজার ফুট নিচে নেমে যায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
শুক্রবারের এ ঘটনার পর নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএএন) এক টুইটে ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ওই সময় ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের (এটিসি) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির কথা জানিয়েছে।
পিটিআই সিএএএন এর মুখপাত্র জগন্নাথ নিরৌলার বরাতে, ‘দায়িত্বে অবহেলার’ কারণে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছে।
নিরৌলা জানান, রাডারে দুটি উড়োজাহাজ মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিলে নেপাল এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি ৭ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। এতে সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভবপর হয়।
এ ঘটনায় নেপালের কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে।
তবে এ ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।