এই কর্মসূচির আওতায় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না- এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে।
Published : 13 Oct 2023, 12:24 AM
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স- গ্যাভির সহযোগিতায় এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে প্রথমে ঢাকা বিভাগে এই কার্যক্রম শুরু হবে। পরে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের আট বিভাগে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) এইচপিভি টিকা সংযোজন করার সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে প্রথম ধাপে ঢাকা বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় ‘এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩' শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। পরের ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে।
এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না- এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫১ জন মেয়েকে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে।
টিকা গ্রহণে উপযুক্ত কিশোরীরা Vaxepi অ্যাপ অথবা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রায় ১২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৬৮০টি মনোনীত টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে।
এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগের মেয়েদেরও টিকা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে 'এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩' উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান বলেন, "এই টিকাটি আমাদের মেয়ে শিশুদের জন্য খুবই দরকারি। এই রোগে আক্রান্ত হলে নারীদের জরায়ু কেটে ফেলতে হয়। তাই আমি আশা করব, সব মেয়ে শিশু এই টিকা নেবে।
“টিকাটি অনেক ব্যয়বহুল। সরকার এখন বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে। সেজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।"
করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে শামসুল কবির বলেন, "বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে, যা একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল, দেশের লাখ লাখ মেয়েকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা। এই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর জীবন কেড়ে নেয়।"