৯৩% সংবাদপত্রে মালিকই সম্পাদক

বাংলাদেশে ছাপানো সহস্রাধিক দৈনিক সংবাদপত্রের মধ্যে ৯৩ শতাংশেই মালিকই সম্পাদকের পদ ধরে রেখেছেন।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2016, 12:36 PM
Updated : 14 June 2016, 12:38 PM

সংসদে উত্থাপিত প্রশ্নে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর দেওয়া উত্তরে সম্পাদক পদে পেশাদার সম্পাদকদের নগণ্য অবস্থানের এই চিত্র দেখা যায়।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ তথ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রশ্নে জানতে চেয়েছিলেন- দেশে বর্তমানে মোট কটি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে; কতটিতে মালিক সম্পাদক এবং কতটিকে পেশাদার সম্পাদক কাজ করছেন?

সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত তথ্যমন্ত্রীর উত্তরে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে মোট দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ৭৮টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৫টিতে প্রকাশক ও সম্পাদক একই ব্যক্তি।

অর্থাৎ প্রকাশক বা মালিকরা ৯৩ শতাংশ সংবাদপত্রে সম্পাদকের পদে রয়েছেন। ৭৩টি অর্থাৎ ৭ শতাংশ সংবাদপত্রে পেশাদার সাংবাদিক রয়েছেন সম্পাদকের পদে।

“অধিকাংশ পত্রিকার প্রকাশক বা মালিকই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। স্বল্প সংখ্যক পত্রিকার প্রকাশক পেশাদার সম্পাদক নিয়োগ করে থাকেন,” উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন ইনু।  

তিনি আরও বলেন, “দেশের ১০৭৮টি দৈনিক পত্রিকার মধ্যে বর্তমানে মিডিয়াভুক্ত ৪৩৪টি।”

বাংলাদেশে প্রকাশিত এসব সংবাদপত্রের অধিকাংশে মালিকই সম্পাদক

লতিফ আরও জানতে চেয়েছিলেন- কোন পত্রিকা কোন প্রেস থেকে প্রতিদিন কত সংখ্যা ছাপানো হয় এবং এই কাজটি সরকার কোন পদ্ধতিতে তদারক করে?

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “কেবল মিডিয়াভুক্ত পত্রিকা কোন প্রেস হতে প্রতিদিন কত সংখ্যা ছাপানো হয়, তা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার মনিটরিং করে থাকে। পত্রিকার প্রিন্টার্স লাইনে ছাপাখানার নাম মুদ্রিত থাকে।”

মিডিয়া তালিকাভুক্ত সংবাদপত্রের ছাপা সংখ্যার ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীতে তালিকাভুক্ত ১২৪টি দৈনিক পত্রিকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত ২৬০টি দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যার তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী।

নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে ইনু জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কেবল টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে।

ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো দেখা না যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা না থাকলেও প্রতিবেশী দেশটির কেবল অপারেটরদের অনাগ্রহের কথা জানান তথ্যমন্ত্রী।  

“বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের বিষয়ে ভারতীয় দর্শকদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। ভারতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডাউনলিংক ফি বেশি হওয়ায় ভারতীয় কেবল অপারেটররা এই বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে না।”

তবে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত দূরদর্শনের একটি চ্যানেল ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিটিভির অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়ে সম্মতি পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এনিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।