নোনতায় মাথাব্যথা

খাবারে বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যেস থাকলে মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2015, 11:39 AM
Updated : 25 March 2015, 11:47 AM

সম্প্রতি জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির নতুন গবেষণার ফলাফল থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই গবেষণায় ভিত্তিতে তৈরি একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেখা গেছে সাধারণ আমেরিকান খাবারে অভ্যস্ত এমন মানুষদের মধ্যে যারা দৈনিক ৩৫০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম গ্রহণ করেন তাদের থেকে শতকরা ২৫ভাগ কম মাথাব্যথ্যায় ভোগেন যারা ১৫০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম খান।

এমনকি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সোডিয়াম বা লবণের মাত্রা কমিয়ে বেশি করে ফল, সবজি এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করেছেন তাদের মাথাব্যথা যা হওয়া ঝুঁকি কমেছে।

লবণ কেনো মাথা ব্যথার কারণ সেটা গবেষকরা নিশ্চিত না হলেও, এই গবেষণার লেখক লরেন্স অ্যাপল (এম.ডি, এমপিএইচ) বলেন, “যখন এই উপাদান গ্রহণ করা হয় তখন রক্তের পরিমাণ সম্ভবত বাড়িয়ে দেয়।”

ফলে এই অতিরিক্ত রক্তের স্থান সংকুলান করতে গিয়ে ধমনী কিছুটা প্রসারিত হয়। এভাবে ধমনীর সংকোচন এবং প্রসারণের কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়।

আর এই কারণেই অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার থেকে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি এবং ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে অবদান রাখে। তাছাড়া অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এবং মাথাব্যথা সম্পর্কিত এই গবেষণা ব্লাড প্রেশার হিসাব করার কথাও মনে করিয়ে দেয়।

ফলাফলে দেখা গেছে রক্তচাপ ঠিক থাকলেও লবণের কারণে মাথাব্যথা তৈরি হতে পারে। তাই এই বাজে রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খাবারে লবণ খাওয়া কমান।

তবে এর জন্য কিছুটা কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেল্থ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেইশন’য়ের করা এক জরিপে দেখা গেছে, ত্রিশ বছর বয়সি বেশিরভাগ পুরুষ দৈনিক গড়ে ৪৫০০ মি.গ্রামেরও বেশি সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণ করেন।

তাই ড. অ্যাপল বেলন, “এই গবেষণায় ব্যবহৃত সবচেয়ে কম মাত্রার লবণ (১৫০০ মি.গ্রা.) খাওয়ায় অভ্যস্ত হওয়া- বলতে গেলে অবাস্তব।”

তিনি আরও বলেন, “সারাদিনে ২৩০০ মি.গ্রা. পরিমাণ লবণ খাওয়ায় অভ্যস্ত হওয়া বরং বাস্তবসম্মত হতে পারে।”

আর এরজন্য রান্না করা খাবার কেনা, ক্যান সুপ, ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে ‍দিন। আর টাটকা খাবার খাওয়া শুরু করুন।

ভালো খবর হচ্ছে, যেকোনোভাবে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমাতে পারলে মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়। তবে তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা থাকলে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ছবি: রয়টার্স।