এ বিষয়ে কথা বলেন ‘বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ’য়ের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিভাগের প্রধান নাসিমা নাসরিন। তিনি জানান ঘরে আসবাব বিন্যাসের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যেমন:
- আসবাবপত্র স্থাপনের সময় চলাচলে যেন অসুবিধা না হয় সেদিকে সবার আগে খেয়াল রাখা হবে।
- সবসময় দেয়াল থেকে কিছুটা দূরে আসবাব স্থাপন করা উচিত, যেন দেয়ালের সঙ্গে ঘষা না লাগে, কারণ এতে করে দেয়ালের রং
- বড় ও ভারি আসবাব বড় দেয়াল (দেয়ালের যে পাশে কোন জানালা বা দরজা নেই) এর দিকে এবং ছোটো আসবাব জানালার দিকে রাখা ভালো। যতটা সম্ভব দরজা ও জানালা বাদ দিয়ে আসবাব রাখা উচিত।
- ঘরের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য ছোট আসবাব কোনাকুনি-ভাবে রাখা যায়। তবে কখনও বড় আসবাব কোনাকোনি-ভাবে রাখা ঠিক না।
- ঘরে জায়গা কম থাকলে বহুমুখি আসবাব ব্যবহার করা উচিত।
- আসবাব বিন্যাসের ক্ষেত্রে অধিক জায়গা নষ্ট করা ঠিক নয়, তবে চলাচলের জন্য অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা রাখা উচিত।
- সোফা ও চেয়ারের সামনে দুই থেকে আড়াই ফুট এবং খাওয়ার টেবিলের চারপাশে তিন ফুট জায়গা খালি রাখা উচিত।
- আলমারি বা দেরাজ খোলার জন্য এর সামনে অন্তত চার ফুট জায়গা খালি রাখা উচিত।
- বড় সোফার সামনে বড় টেবিল বা ল্যাম্পশেইড রাখা যায়। তবে ছোটো সোফার সামনে কোন ডেস্ক বা টেবিল রাখা ঠিক নয়।
- ঘরে একই বা কাছাকাছি নকশার, উপাদানের ও রংয়ের আসবাব রাখলে দেখতে ভালো লাগে।
- ঘরের একপাশের দেয়ালে বড় আসবাব ও অন্য পাশের দেয়ালে কেবল ছোট আসবাব না রেখে ব্যবহার অনুযায়ী বড় বা ছোট আসবাব মিলিয়ে মিশিয়ে রাখা ভালো। এতে ঘরে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।
- ঘরের মেঝে ও ছাদের রং এবং নকশার সঙ্গে মিল রেখে আসবাব নকশা করা হলে দেখতে ভালো দেখাবে। তবে অবশ্যই সাধ্যের উপর নির্ভর করে।
- আসবাবপত্রের মাধ্যমে ঘর আকর্ষণী করা যায়। এ ক্ষেত্রে ঘরে এমন একটি আসবাব রাখতে হবে যেটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। যেমন— ড্রয়িং রুমে সেন্টার টেবিল, বেড রুমে সো-পিস বা ল্যাম্পশেইড, ডাইনিং রুমে খাবার টেবিল বা দেয়ালের কোন আলোকচিত্রের মাধ্যমে প্রাধান্য সৃষ্টি করা যায়।