ওজন নিয়ন্ত্রণে বাদাম ও খেজুর

পেটভরা রাখার পাশাপাশি দেহে যোগায় পুষ্টিকর উপাদান।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2020, 06:35 AM
Updated : 12 March 2020, 06:35 AM

বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন। ‘এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, অলস অবস্থায় বা বিশ্রামে নেওয়ার সময় বাদাম খেলে সেটা হজম করতেও দেহকে বেশি শক্তি খরচ করতে হয়।”

সেই হিসেবে বলা যায়, বাদাম অনেক্ষণ পেটভরা অনুভূতি দেয় বলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে। আবার হজমে বেশি শক্তি লাগে বলে ক্যালরিও খরচ হয়। অন্যদিকে খেজুর মিষ্টিজাতীয় ফল, যা চকলেট খাওয়ার ইচ্ছা দমন করতে পারে।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।

আখরোট: আখরোট ওমেগা-সিক্স সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড যা লিনোলেইক অ্যাসিড নামে পরিচিত, ওমেগা-থ্রি চর্বি আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। আখরোট খাওয়া হলে তা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ওজন ঠিক রাখে।

২৮ গ্রাম আখরোটে ১৮৭.৩ কিলোক্যালোরি থাকে।

কাঠবাদাম: ওজন কমাতে খুব ভালো নাস্তা হিসেবে কাঠবাদামের জনপ্রিয়তা আছে। এটা কেবল প্রোটিনেরই ভালো উৎস নয় বরং এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস। এতে ক্যালরি কম ও প্রোটিন বেশি থাকায় তা পেশি গঠনে সহায়তা করে। এছাড়া, কাঠবাদাম খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সহায়ক।

প্রতি ২৮ গ্রাম কাঠবাদামে ১৭৪.৩ কিলোক্যালোরি থাকে।

খেজুর: খাওয়ার পরে মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে চকলেট বা অন্যান্য মিষ্টির বদলে খেজুর খান। এটা লৌহ সমৃদ্ধ যা ওজন কমাতে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। খেজুর আঁশ সমৃদ্ধ যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা থেকে বাঁচায়।

প্রতি ২৮ গ্রাম খেজুরে ৭৯ কিলো ক্যালরি থাকে।  

প্রতিদিন এক মুঠ বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কাঠবাদাম বা আখরোটের মতো দামী বাদাম না খেতে পারলেও চিনাবাদামেও রয়েছে পুষ্টিকর উপাদান এবং দিতে পারে পেটভরা অনুভূতি। তবে এসবে লবণ, মসলা ও অন্যান্য স্বাদ বৃদ্ধিকারী উপাদান মেশানো ওজন কমানোতে সহায়তা করবে না। বাদাম খেলে খুব দ্রুত কোমড়ের পরিবর্তন চোখে পড়বে। যদি সঠিক পরিমাণে অন্যান্য খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন