সর্দি লাগলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। পরিষ্কার করার জন্য সজোরে নাক ঝাড়া তখন প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়। এভাবে নাক পরিষ্কারের মাধ্যমে সাময়িক প্রশান্তি মেলে, এড়ানো যায় অপ্রত্যাশিত বিব্রতকর অবস্থাও। তবে এতে হতে পারে হিতে বিপরীত।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার ডা. জে. ওয়েন হেন্ডলি এবং অন্যান্য গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় জানা যায় কাশি ও হাঁচির কারণে নাকের রাস্তায় যে চাপ তৈরি হয় তা নাক ঝাড়ার তুলনায় নগন্য, মাত্র ১০ ভাগের একভাগ।
একজন মানুষ যখন তার নাক ঝাড়ে তখন নাকের দুই রাস্তা থেকেই প্রায় এক মি.লি.মিটার মিউকাস সাইনাসে ঢুকে পড়তে পারে। ফলে মিউকাস বের হওয়ার প্রক্রিয়া উল্টে যায় এবং মন্থর হয়ে পড়ে।
এছাড়াও নাক ঝাড়ার কারণে নাকের রাস্তায় প্রচণ্ড চাপ পড়ে, যা একজন ব্যক্তির ডায়াস্টোলিক রক্তচাপের সমান।
সাইনাসে মিউকাস ঢুকে পড়াটা ক্ষতিকর কিনা তা নিশ্চিত না হলেও মিউকাসে থাকে ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়া, যা সাইনাসে প্রবেশ করা নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর।
নাক ঝাড়ার সঠিক উপায়
বন্ধ নাক খুলতে কিংবা মিউকাসে ভরা নাক পরিষ্কার করার জন্য নাক যদি ঝাড়তেই হয় তবে একসঙ্গে দুই নাক নয়, একটি একটি করে ঝাড়তে হবে।
এতে নাকের রাস্তায় ও সাইনাসে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না। নাক খোলার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
আর সর্দি লাগলে তা একাই সেরে যাওয়ার অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
ছবির মডেল: শিহাব শাহরিয়ার। মেইকআপ: আহান রহমান। ফটোগ্রাফার: কেএ রহমান। স্টুডিও: ইমাজিনইট।
আরও পড়ুন