নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী রয়েছে অনেক। তবে সেগুলো নিয়ে পর্যটন ভিত্তিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
তাই নদী পর্যটন বিষয়ে উৎসাহ করতে ১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ‘অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ’ সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল এবং ফেস্টিভ অ্যান্ড কালচারাল ট্যুরিজম কনসোর্টিয়াম।
এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
তিনি বলেন, “আমরা নদীর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারছি না। আমাদের কাছে তা নেই। তবে সিজিএস (চিফ জেনারেল স্টাফ) বলেছে, দেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫। আমাদের জেলা ও উপজেলার কমিটিগুলো একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর সংখ্যা বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।”
তার কথায়, “গার্মেন্টস শিল্পের পর দেশের অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে পর্যটন শিল্প। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের নদীগুলো হতে পারে পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি নদী পর্যটনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নানান কার্যকরী ও টেকসই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।”
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
তার কথায়, “আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, আবহমান জীবনধারা সবকিছুই নদীকেন্দ্রিক। তাই নদী বাঁচলেই দেশ বাচবে। একটি নদীর মৃত্যু মানে শুধু একটি জলধারা নয়, বরং দেশের অর্থনীতির মৃত্যু, সভ্যতা-সংস্কৃতির স্থবিরতা। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারির অভাব রয়েছে।”
এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান খান কবির, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম ও ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একে আরিফ উদ্দিন।