বাংলা চ্যানেল সাঁতারে প্রথম দ্বৈত পারাপার

ভারতীয় কিশোর সাম্পান্না রমেশ সেলার বাংলা চ্যানেল সাঁতারে প্রথমবারের মতো একটানা দু’বার সাঁতার সম্পন্ন করায় তাকে ট্রফি দিয়ে অভিনন্দিত করেছে এভারেস্ট একাডেমী।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2018, 09:34 AM
Updated : 3 April 2018, 09:34 AM

২ এপ্রিল সোমবার ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাম্পান্নাকে বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সনদ, প্রশংসাসূচক পত্র ও মেডেল দিয়ে ভূষিত করা হয়।

এ সময় তার কোচ জিতেন্দ্র খাসনিস, এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহীম, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ বিপু, খিলক্ষেত ৯৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহসিন কবীর লিমন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সাম্পান্না বলেন, “এই বাংলা চ্যানেল সাঁতারে নতুন লক্ষ্য নিয়ে ফিরতে চাই।”

তিনি ২০১৯ সালে এই বাংলা চ্যানেল টানা চারবার সাঁতরে পার হতে চান।

তার কোচ জিতেন্দ্র বলেন, “এশিয়ার মধ্যে বাংলা চ্যানেলই সমুদ্রে অন্যতম চ্যানেল, যার খ্যাতি ইংলিশ চ্যানেলের মতো হতে পারে। বাংলা চ্যানেলকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিত করে তুলতে আমি শুভেচ্ছাদূত হিসাবে কাজ করতে চাই।”

এ সময় তাকে বাংলা চ্যানেলের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে এভারেস্ট একাডেমীর চেয়ারম্যান মুসা ইব্রাহীম বলেন, “সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলা চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং করতে চাই।”  

বিশ্বের সকল দূরপাল্লার সাঁতারুর কাছে এই বাংলা চ্যানেল মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস টুরিজম প্রসারের পরিকল্পনাও তিনি এ সময় ব্যক্ত করেন।

এভারেস্ট একাডেমী সূত্রে জানা যায়, ভারতের পুনে জেলার ১৭ বছর বয়সি সাম্পান্না রমেশ সেলার ৩০ মার্চ বাংলা চ্যানেল সাঁতারে নতুন রেকর্ড গড়েন। তিনি প্রথমবারের মতো সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জেটি থেকে টেকনাফের ফিশারিজ জেটি পর্যন্ত সাঁতরে গিয়ে ফের সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপে সাহসিকতার সঙ্গে সাঁতরে ফিরে আসেন।

এভারেস্ট একাডেমী'র আয়োজনে এই “প্রথম ডাবল ক্রস বাংলা চ্যানেল” সাঁতারে তার সময় লেগেছে ৯ ঘন্টা ১০ মিনিট। তিনি সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, জেলিফিশ ও অন্যান্য প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলা চ্যানেলে দুই বারে ৩২ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরত্ব পারি দেন।

৩০ মার্চ সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শুরু করে সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপের জেটি থেকে টেকনাফের ফিশারিজ জেটি পর্যন্ত যেতে তার সময় লেগেছিল ৫ ঘণ্টা। সেখানে পৌঁছে ১০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে ফের তিনি সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ অভিমুখে ফিরতি সাঁতার শুরু করেন। এবার তার সময় লাগে ৪ ঘণ্টা।

সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপে এ সময় বেশ আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সাম্পান্না'র এই সাঁতারে সহযোগিতা করেন ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদানকারী সংস্থা হেলদি হোমের সিনিয়র ফিজিও নূর আহমদ এবং কক্সবাজারের সিআইপিআরবি-সি সেইফ লাইফগার্ড'র উদ্ধারকর্মী কামাল হোসেন।

বাংলা চ্যানেলের আবিষ্কারক কীর্তিমান ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার প্রয়াত কাজী হামিদুল হকের (১৯৪৯-২০১৩) প্রচেষ্টায় ২০০৬ সালে শুরু হয়ে এ বছর বাংলা চ্যানেল দূরপাল্লা সাঁতারের ত্রয়োদশ আসর সম্পন্ন হলো।