টুকরা খবর

বাংলাদেশে ডায়বেটিস রোগীদের প্রথম জাতীয় ডিজিটাল নিবন্ধন এবং এশিয়া ইয়ং ডিজাইনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠিত

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2017, 11:10 AM
Updated : 18 Dec 2017, 11:10 AM

বাংলাদেশে ডায়বেটিস রোগীদের প্রথম জাতীয় ডিজিটাল নিবন্ধন

দেশে প্রথমবারের মতো সূচনা হল জাতীয় ডিজিটাল ডায়াবেটিস রোগীর নিবন্ধন পদ্বতি। এর ফলে ডায়াবেটিসের সঙ্গে দিনযাপন করা রোগীর জন্য গুনগত সেবা নিশ্চিত করা যাবে নিবন্ধিত তথ্য উপাত্ত ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যেমে।

শুধু তাই নয়, মানুষ সচেতন হবে ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কেও। নভো নরডিস্কের সহযোগিতায় পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবে ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বাডাস) ও দেশে জুড়ে থাকা তাদের শাখা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই উপলক্ষ্যে বাডাসের সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান ও নভো নরডিস্কের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেডরিক কিয়ার এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক আজাদ বলন, “ডিজিটাল নিবন্ধনের ফলে দেশে বসবাসকারী রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা, তিন মাসের গ্লুকোজের গড় হিসাব (এইচবিএওয়ানসি) জানা যাবে। একই সঙ্গে রোগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সহজে সমাধান করা সম্ভব হবে। কারণ সু চিকিৎসা তখনই নিশ্চিত করা যায় যখন হাতের কাছে প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। যা এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব হবে।”

এ সময় পৃথিবীব্যাপী ডায়াবেটিস রোগের নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতায় কাজ করা প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্কের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেডরিক কিয়ার বলেন, “ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য এর গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরি। পুরো পৃথিবীতে এই রোগ যাতে মহামারী আকার ধারণ করতে না পারে তার পেছনে ৯০ বছরের ও বেশি সময় ধরে কাজ করছে নভো নরডিস্ক।”

নভো নরডিস্ক এসকেএফ ফার্মার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ২০১২ সাল থেকেই বাংলাদেশে হিউম্যান ইনসুলিন তৈরি করে আসছে এবং ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন দেশব্যাপী সরবরাহ করে আসছে।

এশিয়া ইয়ং ডিজাইনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠিত

স্থাপত্য ও ইন্টেরিওর ডিজাইন নিয়ে আয়োজিত এশিয়া ইয়ং ডিজাইনার অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ বাংলাদেশ পর্বের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি রিসোর্টে চূড়ান্ত দুটি বিভাগে বিজয়ী চার জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়র ক্যাটাগরিতে গোল্ড পুরস্কার পান নাদিয়া আফরিন লগ্ন ও আহনাফ আকিফ সিদ্দিকী। সিলভার পুরস্কার পান মতিয়ার রহমান ও ফাতিমা বিন্তে খালেদ।

গোল্ড বিজয়ীরা ৫০ হাজার করে টাকা এবং সিলভার বিজয়ীরা ২৫ হাজার করে টাকা পান।

অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক, ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন নিপপন পেইন্ট (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার লি থর মেও টেং, স্থপতি খাদেম আলী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির অধ্যাপক কাজী আজিজুল মওলা ও স্থপতি এন. আর. খান।

প্রতিযোগিতার গোল্ড বিজয়ী দুজন আগামী বছরের মার্চে মালয়েশিয়ায় ১৫টি দেশের গোল্ড বিজয়ীদের সঙ্গে গ্রান্ড গালা রাউন্ডে প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ডের জন্য লড়বে। বাংলাদেশ পর্বের এ প্রতিযোগিতায় ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।