কনসালটেটিভ গ্রুপ টু অ্যাসিস্ট দি পুওর (সিজিএপি) বৃহস্পতিবার এই প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশ করে জানিয়েছে, তাদের জুরি বোর্ড ৭৬টি দেশের প্রতিযোগীদের পাঠানো তিন হাজার আলোকচিত্রের মধ্যে থেকে ‘হানি কালেক্টরস’নামের ছবিটিকে এবারের গ্র্যান্ড প্রাইজের জন্য মনোনীত করেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্র সাংবাদিক মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পেশাগত ক্ষেত্রে মুস্তাফিজ মামুন নামেই বেশি পরিচিত। সুন্দরবনের গহীনে ঝুঁকি নিয়ে চাক ভেঙে মৌয়ালদের মধু সংগ্রহের ওই ছবি তিনি তোলেন ২০১৫ সালের এপ্রিলে।
জুরি বোর্ডের সদস্য ইন্দিরা উইলিয়ামস ব্যাবিচ বলেছেন, এই ছবি দর্শককে ভেতরে টেনে নেয়। যাকে নিয়ে এই ছবি এবং যিনি ছবি দেখছেন- দুজনই যেন মিলে যান একই অভিজ্ঞতায়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মামুন বলেন, “আমাদের সুন্দরবনের একটি আলোকচিত্র সিজিএপি’র মতো পুরস্কার পেয়েছে, এজন্য আমি খুবই আনন্দিত৷ গত আঠারো বছর ধরে যে কাজ করে যাচ্ছি, তা মনে হল আজ স্বার্থক হয়েছে৷”
পেশায় আলোকচিত্রী মামুন নেশায় একজন পর্যটক। ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখিতেও তিনি নিয়মিত। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বনে ভ্রমণের পথ বাতলে লেখা তার গাইড ‘বনে বেড়াই’ গত একুশে বইমেলায় প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পাবলিশিং লিমিটেড-বিপিএল।
এবারের সিজিএপি ফটো কনটেস্টে থিমভিত্তিক চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ভারতীয় আলোকচিত্রী সুজন সরকারের ‘রে অব হোপ’; সৌরভ কর্মকারের ‘গিভ আস সানশাইন’; উগান্ডার কেভিন ডি স্যালভোর ছবি ‘বাইসাইকেল ডিস্ট্রিবিউশনস’ এবং ইন্দোনেশিয়ার আফ্রিয়াদি হিকমালের তোলা ‘ফিশ ফাইন্ডার’।
আর আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে কেনিয়ার হেইলি টাকারের তোলা আলোকচিত্র ‘ভিডিও মার্কেটিং উইথ ট্যাবলেটস’ আফ্রিকা অঞ্চলে; ইন্দোনেশিয়ার আলেক্সান্দ্রিনো লেই আইরোসার তোলা ‘ট্রেডিং’ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে; পেরুর ডেভিড মার্টিন হুয়ামানি বেদোইয়ার ‘হোপ ইন দি হাইটস’ লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে; ইরানের শাহাব নাসেরির আলোকচিত্র ‘আলুচাষী’ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে এবং ভারতের সুজন সরকারের ‘ঘরে ফেরা’ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার সময় মামুনের তোলা ‘প্রেয়ারস অন দ্যা রোড’ শিরোনামের একটি ছবি ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডে (এসআইপিএ) ডিজিটাল কালার ক্যাটাগরিতে ব্রোঞ্জ পুরস্কার পায়।
ওই বছরই মামুনের আরও দুটি ছবি ‘মস্কো ফটো অ্যাওয়ার্ড’ এর ‘প্রফেশনাল’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়।