এক জরিপ অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য বেশি হলে বিবাহের ছয় থেকে ১০ বছর পরে প্রাথমিক পর্যায়ের সন্তুষ্টি অনেকটাই কমে যায়।
তবে দম্পতির মধ্যে বয়সের ভেদাভেদ কম হলে সংসারে সন্তুষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেখা গেছে।
‘ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোওউলডা’য়ের অধ্যাপক টেরা ম্যাককিনিশ বলেন, “স্বামীর তুলনায় স্ত্রীর বয়স কম হলে পুরুষরা সাংসারিকভাবে সবচাইতে সুখী হয়। অপরদিকে স্বামীর চাইতে স্ত্রী বয়সে বড় হলে পুরুষের সাংসারিক সন্তুষ্টির মাত্রা সবচাইতে কম থাকে।”
ম্যাককিনিশ আরও বলেন, “স্বামীরা বেশি বয়ষ্ক হলে নারীরা বিশেষভাবে অসন্তুষ্ট থাকেন। আর বেশি সন্তুষ্ট থাকেন যদি স্বামী অপেক্ষাকৃত তরুণ হয়।”
এর পেছনে একটা কারণ হতে পারে, দুই বয়সের দুজন মানুষ সংসারের কোনো নেতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেয়। যেমন হতে পারে চাকরি হারানো।
জরিপে দেখা গেছে, বয়সের তফাৎ কম এমন দম্পতিদের তুলনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের তফাৎ যাদের বেশি তারা অর্থনৈতিক সমস্যায় মুখোমুখি হওয়ার পর সম্পর্কে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সমস্যা হয়।
চিন্তাধারা একই ধাঁচের হওয়ায় কাছাকাছি এবং সমবয়সি দম্পতিদের সাংসারিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত (সন্তান নেওয়া, সাংসারিক খরচ ইত্যাদি) নেওয়াতে সমতা কাজ করে। ফলে আর্থিক টানাপোড়েনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও তাদের সুবিধা হয়।
ম্যাককিনিশ বলেন, “দম্পতির মধ্যে বয়সের পার্থক্য বেশি হলে অপ্রত্যাশিত আর্থিক সংকট থেকে দাম্পত্য কলহ ও মতোবিরোধ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেশি।”
জার্নাল অফ পপুলেশন ইকোনমিকস’য়ে প্রকাশিত এই জরিপের জন্য গবেষকরা ২০০১ সাল থেকে ১৩ বছরের একই নমুনার বিভিন্ন সময়ের তথ্য পর্যালোচনা করেন।
এতে অংশ নেয় ৭ হাজার ৬৮২টি ঘরের ১৯ হাজার ৯১৪ জন। প্রতিবছর প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে তাদের সাংসারিক সন্তুষ্টির বিভিন্ন দিকের মাত্রা পুনঃপর্যবেক্ষণ করা হয়।