খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা আর ঘুমের সময় মিলিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Published : 10 Nov 2016, 03:56 PM
বিষয়টা সহজ করে তোলার কয়েকটি উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
খাবারের পরিমাণ: প্রয়োজনের চাইতে বেশি খাবার খেলে বাড়তি খাবারকেই আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনে হবে। তবে শরীরে আসলে কতটুকু খাবার প্রয়োজন তা নির্ণয় করতে খাবারের পুষ্টিমাণ সম্পর্কে জানতে হবে। নিজের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আদর্শ খাবারের পরিমাণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আর এই আদর্শ পরিমাণ জানতে পারলে প্রতিদিন বেশি খাবার গ্রহণ থেকে মুক্তি মিলবে।
পানি পান: পেটে মোচড় দেওয়া মানেই যে খাবার প্রয়োজন এমনটা নাও হতে পারে। কারণটা হয়ত শুধুই পানির অভাব। তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
মনোযোগ দিয়ে খাওয়া: খাওয়ার সময় টেলিভিশন বা কম্পিউটারে সিনেমা দেখা লোভনীয় হলেও ক্ষতিকর। কারণ, হয়ত আপনি বেশি বা কম খেয়ে ফেলতে পারেন। ফলে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের আদর্শ পরিমাণে তারতম্য ঘটবে।
নাস্তায় সচেতনতা: সঠিক সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে নাস্তা খেলে পেট ভরা থাকবে দীর্ঘসময়। ফলে খাবার বেশি বা কম খাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। মন যা চায় তাই খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দুতিন ঘণ্টা বিরতিতে নাস্তা বা হালকা খাবার খাওয়া উচিত। খাওয়ার চার ঘণ্টা পরেই রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে। স্ন্যাকস হিসেবে প্যাকটজাত খাবারের পরিবর্তে বেছে নিন ফল, সবজি কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার।
পর্যাপ্ত ঘুম: শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। অপর্যাপ্ত হরমোন খাওয়ার রুচিতে প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
ছবি: রয়টার্স।