বাড়ির কোনা-ঘুপচি ছাড়াও জামাকাপড় রাখার জায়গা, আলমারি কিংবা রান্নাঘরে পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার। এছাড়া কীটনাশক ব্যবহারের বিষয়ে তো সবাই জানেন।
বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার ছাড়াও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও পোকার উপদ্রব কমানো যায়। বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রচলিত এবং প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
* পোকামাকড় কমাতে এক কাপ নারিকেল তেলে কর্পূরের গুঁড়া মিশিয়ে ওয়ার্ড্রোবের কোনায় দিয়ে দিন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে তাকগুলো ভালো ভাবে মুছে নিন। তারপর কোণগুলোতে ভালো করে কীটনাশক স্প্রে করুন।
* স্প্রে করার কিছুক্ষণ পর আবার জমাকাপড় ঢুকিয়ে রাখুন। এতে জামাকাপড় পোকায় কাটার সম্ভাবনা থাকবে না। পাশাপাশি আলমারির তাকের মধ্যে পরিষ্কার সাদা কাপড়ে ন্যাপথোলিনের বল, শুকনা-মরিচ, শুকনা নিমপাতা মুড়ে রাখতে পারেন। এতে পোকার উপদ্রব কমবে।
* এক কাপ বেসন, এক চা-চামচ বোরিক পাউডার, এক চা-চামচ চিনি অল্প পানিতে গুলে ছোট ছোট বল তৈরি করে রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর এই বলগুলো বিছানা, কাবার্ড বা আলমারির তলায় রাখুন। আরশোলার উপদ্রব হবে না।
* ঘরদোর অপরিষ্কার থাকলে পোকামাকরের উপদ্রব আরও বেশি হয়। তাই সবার আগে বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ঘরের কোনায় জমে থাকা ঝুল, খাটের নিচের ধুলা, সোফার কোনের ময়লা পরিষ্কার করে নিন।
* ব্যবহৃত চা-পাতা ভালো করে শুকিয়ে নিন। এই শুকনা চা-পাতা ধূপের বদলে ব্যবহার করতে পারেন। চা-পাতা পোড়ানোর ধোঁয়ায় মশা, মাছি পালিয়ে যায়।
* মশা, মাছি তাড়ানোর আর একটা সহজ উপায় হল কয়েক টুকরা কর্পূর আধ কাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘরের এককোনে রেখে দিন। মশা-মাছির উপদ্রব অনেক কমে যাবে।
* পিঁপড়ার উপদ্রব কমাতে দরজা ও জানালায় বোরিক পাউডার ঢেলে রাখুন। তোশক বা গদির তলায় শুকনা নিমপাতা রাখুন, পোকামাকড় হবে না।
* গরম পানিতে সাবান, কেরোসিন তেল মিশিয়ে খাটের তলায় ও ঘরের কোনে স্প্রে করুন। পোকার উপদ্রব কমবে।
* আর হ্যাঁ একটা কথা- সবসময় ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। মাছির সমস্যা দূর হবে। ব্যবহারের পর প্রতিদিন ডাস্টবিন পরিষ্কার করুন।
ছবি: রয়টার্স।