ডিওডোরেন্ট মাখার সঠিক সময়

বেশিরভাগেই সকালে মেখে বের হন। তবে সেটা কার্যকর নয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2015, 07:19 AM
Updated : 4 Dec 2015, 07:19 AM

বাংলাদেশের আর্দ্র অবহওয়ায় ডিওডোরেন্ট না মেখে ঘর থেকে বের হওয়ার কথা আমরা ভাবতেই পারি না। প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ডিওডোরেন্ট মেখে সতেজ মনে বের হই। অথচ ডিওডোরেন্টের কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিওডোরেন্ট মাখার জন্য সকাল একটা খুবই ভুল সময়।

লাইফস্টাইল-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ডিওডোরেন্টের সুফল সর্বোচ্চ পাওয়া যায় যদি রাতে মাখা হয়।

রাতের বেলা তুলনামূলক কম ঘামা হয়। কারণ এ সময় দেহের তাপমাত্রা কম থাকে। ফলে ঘাম গ্রন্থিগুলোর শোষণ ক্ষমতা বেশি থাকে। শরীরে অ্যান্টিপারসপিরান্ট যে উপদানগুলো থাকে তা ঘাম গ্রন্থি ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে। আমাদের চামড়ার উপরিভাগে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের পুষ্টির সঙ্গে বিক্রিয়া করে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। চামড়ার উপরের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি শরীরে পানি তৈরি করে এবং লোমকূপের বহিঃক্ষরা গ্রন্থি তৈরি করে পানি ও পুষ্টি।

রাতে আমরা যখন কম নড়াচড়ার মধ্যে থাকি তখন ডিওডোরেন্ট মেখে রাখলে এর উপাদানগুলো চামড়ার ভিতরে প্রবেশ করার মতো সময় পায় এবং ঘাম গ্রন্থি থেকে পানি ও অন্যান্য উপাদান চামড়ায় আসতে বাধা সৃষ্টি করে।

সকালে আমরা যে শুধু বেশি ঘামি তাই নয়, গোসলের পরে ভেজা শরীরে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করলে পানি ও ঘামের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে এর রাসয়নিক পরিবর্তন ঘটে। এতে ঘাম লোমকূপে পৌঁছে গ্রন্থির নালীতে আটকা পড়ে।

ডিওডোরেন্টের কর্মক্ষমতা সবচেয়ে ভালো পাওয়া যায় যদি রাতে ঘুমানোর আগে একবার মেখে আবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মাখা হয়।

এভাবে সারাদিন ঘামের বিশ্রী দাগ বা গন্ধ ছাড়াই কর্মক্ষম থাকা সম্ভব হবে।