ত্বকের এই সমস্যায় রয়েছে চট জলদি সমাধান।
Published : 18 Sep 2015, 05:04 PM
জানাচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা’র গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
ব্রণ সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে বেশি হয়। অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের হরমোনের প্রভাবে মুখে নাকে কপালে এমনকি পিঠেও হয়।
ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন পেট পরিষ্কার রাখতে হবে। এজন্য প্রচুর শাকসবজি ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দিনে সাত থেকে আট গ্লাস পানি অবশ্যই খেতে হবে।
ব্রণ হয়ে গেলে অনেক ধরনের চিকিৎসা করা হয়। এর মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া অ্যারোমা থেরাপির মাধ্যমে সহজে ব্রণ ভালো করা যায়।
এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ ভালো করা যায়। নিমপাতা-বাটা, কাঁচাহলুদ-বাটা ও চন্দনবাটা মিশিয়ে প্রতিদিন লাগালে ব্রণ শুকিয়ে যাবে। তবে শুকিয়ে গেলেও নখ দিয়ে কখনও খোটা যাবে না।
বারবার ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে ব্রণ শুকিয়ে ছোট হয়ে আসবে। এছাড়াও চট জলদি ব্রণ ভালো করার কিছু উপায় আছে।
- ঘুমতে যাওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর রসুন বেটে রস বের করে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। সারা রাত রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেখবেন ব্রণ ম্যাজিকের মতো ছোট হয়ে গেছে।
- লবঙ্গ পিষে ব্রণের উপর ফোঁটা ফোঁটা লাগিয়ে রেখে দিন সারারাত। সকালে ধুয়ে ফেলুন।
- চন্দন কাঠ ঘষে ক্রিম পেস্ট বানিয়ে নিন। এক্ষেত্রে চন্দন গুঁড়া হলে চলবে না। চন্দন কাঠ ভালো কাজ করবে। পেস্টের মতো বানিয়ে রাতের বেলা ফোঁটা ফোঁটা করে ব্রণের মুখে লাগিয়ে রাখুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পর পর তিনদিন করলেই দেখবেন ব্রণ কমে আসবে।
- সাদা টুথপেস্ট রাতে শোবার আগে ব্রণের মুখে লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
রাতে যে উপাদানই ব্যবহার করুন না কেনো, তৈলাক্ত ত্বক হলে সকালে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে অ্যাস্ট্রিনজান্ট লোশান লাগিয়ে নিন। মুখ পরিষ্কার করুন দিনে দুবার। ত্বক উপযোগী ফেইসওয়াশ অথবা সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
যাই করুন না কেনো ব্রণের নখ লাগাবেন না। কাঁচাব্রণ হাত দেবেন না। ব্রণে হাত লাগালেই একটা থেকে আরেকটা ব্রণ তৈরি হবে।
সবসময় মুখের ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। তাহলেই ব্রণ হওয়া কমবে।
ছবি: নয়ন কুমার।
আরও খবর: