মাথার ত্বকের সুস্থতার ওপর নির্ভর করে চুলে স্বাস্থ্য

মাথার ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হলে চুলেরও অবস্থাও খারাপ হয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 06:34 AM
Updated : 31 May 2023, 06:34 AM

মাথার ত্বক চুলের স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব রাখে। তাই এর ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া উচিত।

ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইংল্যান্ডের ইয়র্ক শায়ার’য়ে অবস্থিত ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক জুলি থর্নটন মাথার ত্বকের অকাল বার্ধক্যের গবেষণা ও বিকাশের জন্য আমেরিকার প্রসাধনী কম্পানি ‘এভেদার’ সঙ্গে সাত বছর কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে অনিয়ন্ত্রত মাথার ত্বক সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

অনিয়ন্ত্রিত মাথার ত্বকে যে ধরনের সমস্যা দেখা দেয়

মাথার ত্বক অস্বাস্থ্যকর হলে চুলে নানান রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চুলের উৎপাদিত আঁশ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অথবা চকচকে ও উজ্জ্বলতার অভাব হতে পারে।

অবস্থা গুরুতর হলে চুল পাতলা হওয়ারও সম্ভাবনা বাড়ে।     

মাথার ত্বক সুস্থ রাখার উপায়

সুস্থ মাথার ত্বকের জন্য সুরক্ষার স্তর মজবুত হওয়া জরুরি। খুশকির মতো ত্বকের সমস্যা থাকলে তার সমাধান করা উচিত।

মাথার ত্বকের অস্বস্তিকর জীবাণূ দূর করতে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিষ্কার করা মাথার ত্বকের সুরক্ষার স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কার্যকারিতা নষ্ট করে।

সূর্যালোকের কারণেও মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অতিরিক্ত সূর্যালোক এড়িয়ে চলা ও প্রয়োজনে সুরক্ষক কাপড় পরিধান করা জরুরি।

ত্বকের উপরের স্তরে ‘লিপিড’, বিশেষ করে দূষণের ক্ষুদ্র কণা, কড়া অতিবেগুনি রশ্মি চুলের আঁশের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত করে।

স্বাস্থ্যকর কিউটিকল মসৃণ ও সমতল। এর কাজ হল চুলের অভ্যন্তরীণ স্তরগুলোকে রক্ষা করা এবং খুলির ভেতরে ও বাইরে আর্দ্রতার চলাচল হ্রাস করা, এর ফলে আর্দ্রতার ভারসাম্য এবং কোমলভাব বজায় থাকে।

কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এবং চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।

স্টাইলিং পণ্য ও তাপীয় যন্ত্র থেকে চুল সুরক্ষার উপায়

চুলে এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে, বিশেষ করে ভেজা অবস্থায়।

চুল শুষ্ক করার পরিবর্তে মসৃণ রাখে এমন স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার করা উচিত। চুলের ধরন অনুযায়ী এসব পণ্য বাছাই করা কঠিন। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উপকারী।

মাথার ত্বকের অনিয়ন্ত্রিত সমস্যা বোঝার উপায়

শুরুতেই মাথার ত্বকের কোনো গুরুতর সমস্যা যেমন- অতিরিক্ত খসখসেভাব বা অন্যান্য জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। আর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

সাধারণ জটিলতা যেমন- চুলকানি, মাথার ত্বকের শক্তভাব দেখা দেয়। এগুলো চুল কম বা বেশি ধোয়ার লক্ষণ।

কড়া ‘ক্ল্যারিফাইং’ শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন চুল ধোয়ার ফলে মাথার ত্বক শক্ত, অস্বস্তিকর বা লালচে হয়ে থাকে। এটা মাথার ত্বকের সুরক্ষক ‘লিপিড’ দূর করে ফেলে।

সপ্তাহে দুয়েকবার ভারী জমাট শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধোয়া হয়ত অপর্যাপ্ত হতে পারে। তাই চক্রাকারে ‘ক্ল্যারিফাইং’ শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আরও পড়ুন

Also Read: অভ্যাসে কেশ তেলচিটে

Also Read: মাথার ত্বকের জন্য উপকারী সেরাম