ক্যাম্পাস, ভিড়, বুথ- সব মিলিয়ে একাকার অবস্থা।
Published : 08 Feb 2024, 06:21 PM
অন্য সবদিনের মতোই ২৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীদের দিন। কিন্তু কলেজে ঢুকতেই চোখে পড়লো গোলাপি রংয়ের একটি বুথ।
ধীরে ধীরে সবার আগ্রহ বাড়তে থাকে বুথটিকে ঘিরে। কাছে যেতেই দেখা যায় সেটি ‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’-এর রেজিস্ট্রেশন বুথ।
স্টুডেন্টদের কেউ হয়তো রেজিস্ট্রেশন করছে, কেউ আবার বুথের সামনে সেলফি তুলছে।
হঠাৎ স্টুডেন্টদের ভিড় ঠেলে একজন বুথের দিকে এগিয়ে আসতেই শুরু হয় তুমুল আলোড়ন। আর হবে নাই বা কেন! পন্ডস্-এর পক্ষ থেকে সবার পছন্দের ইনফ্লুয়েন্সার রাকিন আবসার এসেছিলেন স্টুডেন্টদের সাথে আড্ডা দিতে আর ‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’ নিয়ে আলোচনা করতে।
রাকিনকে দেখে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। উপস্থিত সকলের সাথে নিজের ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ওঠার গল্প শেয়ার করেন রাকিন আবসার।
শুরুতে কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, কীভাবে সেগুলো পার করে আজকের অবস্থানে এসেছেন- সেই অভিজ্ঞতা উৎসাহ যোগায় সবাইকে।
‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’-এর পক্ষ থেকে নিজের ফ্যানদের সাথে সময় কাটাতে পেরে কেমন লাগছে এই প্রশ্নের উত্তরে রাকিন বলেন, “পন্ডস্ এমন একটা ব্র্যান্ড যেটা আমার আগের জেনারেশন অর্থাৎ আমার মা-খালাদের আমি ইউজ করতে দেখেছি। এমনকি আমার বোনরাও পন্ডস্ ইউজ করে। সো এই ব্র্যান্ডটাকে আমি আসলে ছোট থেকে চিনি, এটার নাম জানি। এরকম একটা গ্লোবাল ব্র্যান্ড নতুন প্ল্যাটফর্ম আনছে আর সেটার সাথে আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এটা আমার জন্য আসলে অনেক বড় একটা ব্যাপার।”
তিনি আরও বলেন, “আর পন্ডস্ সুযোগ করে দিচ্ছে স্কিনকেয়ার নিয়ে দেশের প্রথম ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার। এটা আমার কাছে গ্রেট ডিল মনে হয়েছে। আমি এখানে উপস্থিত সবাইকেই এনকারেজ করার ট্রাই করেছি যেন তারা রেজিস্ট্রেশন করে এবং ‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’-এর চ্যালেঞ্জে পার্টিসিপেট করে।”
রাকিনের সাথে লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের স্টুডেন্টদের সেলফি তুলতে দেখা যায়। এমনকি অনেকেই তার সাথে ভিডিও শুট করেন।
শুধু লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজেই নয়। ‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে অন্যান্য ক্যাম্পাসগুলোতেও। এরই প্রমাণ দেখা যায় বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজেও।
কারণ মেয়েদের সবচেয়ে পছন্দের ইনফ্লুয়েন্সার ঈশায়া তাহসীন গিয়েছিলেন সেখানে ‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’-এর পক্ষ থেকে সকলের সাথে আড্ডা দিতে।
ঈশায়াকে দেখতে রেজিস্ট্রেশন বুথে আসা স্টুডেন্টদের এক্সাইটমেন্ট ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই আয়োজন নিয়ে ঈশায়া বলেন, “পন্ডস্ যেটা শুরু করেছে আমি বলব এটা খুবই ভালো একটা ইনিশিয়েটিভ। যারা ইনফ্লুয়েন্সার হতে চায় কিন্তু একটু নার্ভাস যে, কীভাবে শুরু করবে কিংবা এই জার্নিটা কেমন হবে তাদের জন্য পন্ডস্ একটা প্ল্যাটফর্ম এনেছে যা অনেক বড় একটা বিষয়। কারণ তাদের জার্নি যদি ‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’-এর সাথে শুরু হয় তাহলে তারা খুবই ভালো গ্রুমিংয়ের সুযোগ পাবে এক্সপার্টদের থেকে যা তাদের ফিউচার জার্নিকে আরও মসৃণ করবে।”
রেজিস্ট্রেশন করতে আসা একজন স্টুডেন্ট তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, “আমি ইনফ্লুয়েন্সার হতে চাই কারণ আমি আরও মেয়েদের ইনফ্লুয়েন্স করতে চাই যেন তারা নিজেদের যত্ন নেয়, ত্বকের যত্ন নেয় আর সবসময় নিজেদেরকে প্রেজেন্টেবল রাখতে পারে।”
রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই তরুণদের ভেতর এই আয়োজন নিয়ে বেশ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। ইনফ্লুয়েন্সাররা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আছে ইশরাত জাহীন আহম্মেদ, সালমান মুক্তাদির, ইফতেখার রাফসান-সহ আরও অনেকে। শেয়ার করছেন তাদের অভিজ্ঞতা। উৎসাহ দিচ্ছেন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।
অনলাইনেও চলছে রেজিস্ট্রেশন। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন www.skinfluencerbd.com ওয়েবসাইট।
আর যে কোনো তথ্যের জন্য পন্ডস্ বাংলাদেশ-এর ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করলেই হবে।
ইতিমধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এখনও রেজিস্ট্রেশন না করে থাকলে জলদি করে ফেলুন। কেননা ‘পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার’-এর উইনার পাবে দেশের বাইরে অবস্থিত পন্ডস্ ইনস্টিটিউট-এর এক্সপার্টদের কাছ থেকে স্কিনকেয়ার নিয়ে বিশেষ ট্রেনিং। যা তার জ্ঞান ও দক্ষতাকে অনন্য মাত্রা দিবে।
এছাড়া পন্ডস্ বাংলাদেশ-এর নতুন মুখ হওয়ার আকর্ষণীয় সুযোগ তো থাকছেই।
ডিসক্লেইমারএটি একটি বিজ্ঞাপনী বার্তা; সংবাদ প্রতিবেদন নয়। এর কোনো কনটেন্টের দায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নয়।