‘পরীক্ষার খাতায় নম্বরের অত্যাচার বন্ধ চাই’

‘কিডজ’ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শিক্ষা ও বিজ্ঞানচর্চা বিষয়ে ভাবনা জানাচ্ছেন বিজ্ঞান-গবেষক ও কলামনিস্ট নাদিম মাহমুদ।

কিডজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2023, 06:31 PM
Updated : 3 Feb 2023, 06:31 PM

নাদিম মাহমুদ বিজ্ঞান-গবেষক ও কলামনিস্ট। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, তারপর জাপান সরকারের মনবসু বৃত্তি নিয়ে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর শেষ করে সেখানে পিএইচডি করেছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোসায়েন্স বিভাগে গবেষণারত।

নাদিম একসময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এবারের অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ‘কিডজ’ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শিক্ষা ও বিজ্ঞানচর্চা বিষয়ে তিনি তার ভাবনা জানাচ্ছেন।

একুশে বইমেলা চলছে, এ মেলা বিজ্ঞানচর্চায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন?

বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গড়তে না পারার খেসারত-স্বরূপ বিজ্ঞানবিষয়ক বই মেলায় তেমন একটা চোখে পড়ে না। হয়ত পাঠক ও প্রকাশকদের আগ্রহ কম থাকায় বিজ্ঞানবিষয়ক বই লেখার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। অথচ এ ধরনের মেলায় যেহেতু ছোট বড় সব বয়সী মানুষ যায়, বই কেনে, অন্তত তাদেরকে বিজ্ঞানমনা করতে বিজ্ঞানবিষয়ক বই প্রকাশনা বাড়ানো উচিত। মনে রাখতে হবে, যে সমাজ যত বেশি বিজ্ঞান জানবে, সেই সমাজ বা রাষ্ট্র ততো দ্রুত এগিয়ে যাবে। কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের যবনিকাপাত হবে।

এবছর বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যবই প্রকাশ করেছে সরকার। নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর পর নানা ভুল ও সংশোধন নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর উপায় কী?

স্থিতিশীল পাঠ্যক্রম কাঠামো গড়তে না পারার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীদের। তারা আমাদের শিক্ষাবিদদের করা পাঠ্যক্রমের গিনিপিগ হয়ে উঠছে। ভুলভাল শব্দ, বাক্য কিংবা বিষয়বস্তু রেখেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার পর সংশ্লিষ্টদের জ্ঞান ফিরছে। আর এসব আলোচনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণেতাদের অদক্ষতা দেখিয়ে দিচ্ছে। অনুবাদ আর কপি-নির্ভর বই শিক্ষার্থীদের হাতে উঠছে, যা থেকে জ্ঞানের মৌলিক বিকাশ সম্ভব হয়ে উঠছে না।

এসবের বাইরে কখনো কখনো পাঠ্যপুস্তকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়ে। কোন বিষয়বস্তু থাকবে আর কোনটি থাকবে না সেটি তাদের সুপারিশে চলে যায়। সরকারের উচিত, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা। প্রয়োজনে জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন করতে হবে যাতে করে সরকার পরিবর্তন হলেও পাঠ্যক্রমে যেন পরবর্তী সরকার হস্তক্ষেপ না করতে পারে। যারা শিক্ষানুরাগী, শিক্ষাকে ভালোবাসে, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় নিয়োজিত এমন ব্যক্তিদের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সুযোগ দিতে হবে।

বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদাকে তার বাবা-মা কোরআনের হাফেজ বানাতে চেয়েছিলেন, মাদ্রাসায়ও ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু তার চাচাতো ভাইয়ের অনুরোধে স্কুলে ভর্তি করানো হয়। প্রশ্ন হলো ধর্মশিক্ষার সঙ্গে বিজ্ঞানশিক্ষার বিরোধ আছে কিনা, দুটো কি সমান্তরালভাবে চলতে পারে?

আমাদের দেশে অনেক পিতা-মাতা বিশ্বাস করেন যে সন্তানকে কোরআনের হাফেজ বানাতে পারলে তারা জান্নাতে যাবেন। সন্তানের কাঁধে তারা নিজের জান্নাতের স্বপ্ন লালন করে, ফলে সমাজের একটি বড় অংশ মনে করে সাধারণ শিক্ষা ধর্মীয় অনুশাসনের অন্তরায়। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। বিজ্ঞান ও ধর্ম দুটোই মানুষের কল্যাণে। ধর্ম হলো বিশ্বাস আর বিজ্ঞান হলো বিশ্বাসের প্রমাণ। বিজ্ঞান কখনোই আমাদের ধর্মবিমুখতার শিক্ষা দেয় না। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের ক্ষয় করে না। ধর্ম ও বিজ্ঞান দুটোই মানুষের জন্য, তাদের মঙ্গলের জন্য।

আপনি জাপানে পড়াশোনা করেছেন। ওখানকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে বলবেন?

জাপানে আমি আট বছর ছিলাম। ওখানকার শিক্ষা পদ্ধতি সম্ভবত পৃথিবীর সেরা। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা জিপিএ-এর পেছনে দৌড়ালেও এরা এসব নিয়ে কখনো মাথা ঘামায় না। এদের শিক্ষার মৌলিকত্ব হচ্ছে, নৈতিকতা এবং নিজের সংস্কৃতিকে জানা। এদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করা যে, সেখানেই একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক ভিত্তি কাঠামো গড়ে উঠে। আমি দেখেছি, শিশুরা সকালে স্কুলে আসে, ক্লাসে যতটুকু সময় কাটায় ঠিক তার চেয়ে বেশি সময় তারা খেলাধুলা কিংবা সৃজনশীল কাজে ব্যয় করে। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই সম্পন্ন হয়। শিশুদের বাসায় গিয়ে পড়াশোনা করতে হয় না। কে কম নম্বর পেল, কে বেশি নম্বর পেল এসব মানসিক অত্যাচার তাদের পোহাতে হয় না। যে শিক্ষার্থী ক্লাসে দুর্বল কিংবা বুঝতে পারে না, তাদেরকে স্কুল শেষে বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষকরা সেই পাঠ শিখিয়ে দেয়। ফলে ক্লাসে মেধার বৈষম্য চোখে পড়ার মতো নয়। আমাদের দেশেও পরীক্ষার খাতায় নম্বরের অত্যাচার বন্ধ করা চাই।

এছাড়া জাপানের স্কুলগুলোতে ধনী-গরিবের কোন পার্থক্য থাকে না। ফলে কার বাবা কত বড় প্রভাবশালী সেই চিন্তা তাদের আসেই না। যে কারণে, সেই দেশে সব স্কুলে একই আঙ্গিকে একই কাঠামোতে শিক্ষা দেওয়া হয়। আমাদের মতো নিত্যদিন পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করতে হয় না, পরীক্ষিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে একই ধরনের টপিক তাদের চলে আসছে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোনো তথ্য জানানোর প্রয়োজন হলে শিক্ষকরা তাদের শিক্ষা উপকরণ বা ক্লাস লেকচারে বিশদ আলোচনা করছেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধারার পড়াশোনা হচ্ছে সেখানে। আমি এমনও দেখেছি, সায়েন্টিফিক কনফারেন্সগুলোতে স্কুলের শিশুদের জন্য একটি সেশন থাকে, যেখানে তারা বড়দের সঙ্গে বিজ্ঞানবিষয়ক পোস্টার উপস্থাপন করে। এর মাধ্যমে তারা স্কুলে থাকতেই সায়েন্টিফিক কমিউনিটিকে জানছে, শিখছে। ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করছে।

রবীন্দ্রনাথের একটা কথা আছে এমন- কেউ মাথায় পুরে নিয়ে যায় কেউ পকেটে পুরে, দুটোই নকল। পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাপদ্ধতির পাশাপাশি শিশুকিশোরদের চিন্তাশীল করে গড়ে তুলতে কী প্রয়োজন?

চিন্তাশীলতা তৈরি হবে চিন্তাশীল পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে। আমরা যদি পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিশুদের কৌতূহল তৈরি করতে না পারি, তাহলে মুখস্থনির্ভর পাঠ কেবল জিপিএ বাড়াবে, মস্তিষ্কের চিন্তাশীল আয়তন বাড়বে না। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি অনেক তো হলো। দিন শেষে অনেকগুলো বিদায় নিলো। তারপরও আমাদের নীতি-নির্ধারকদের ঘুম ভেঙ্গেছে কি? পরীক্ষানির্ভর জিপিএ প্রজন্ম ক্রমেই আমাদের বোঝা হয়ে উঠেছে তা পরিলক্ষিত। এবারের পাঠ্যক্রমে তিন শ্রেণির বইগুলো আমি দেখেছি। এগুলো বাস্তবায়ন হলে পরীক্ষানির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে। তবে চিন্তাশীলতা বাড়াতে আমাদের শিশু-কিশোরদের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। শুধু পাঠ্যপুস্তকে নয়, নতুন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ডিভাইস-নির্ভর পাঠ্যক্রমের সূচনাও থাকতে হবে।

বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়ন পড়াতেন। একবার তার ছাত্ররা পরীক্ষায় খারাপ করায় কলেজের অধ্যক্ষ কারণ জানতে চান। প্রফুল্লচন্দ্র রায় জবাব দিলেন, ‘আমি ওদের রসায়ন পড়াই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস পড়াই না।’ সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা দিয়ে কি বিজ্ঞান-গবেষক তৈরি সম্ভব? কী করা প্রয়োজন?

আসলে প্রফুল্লচন্দ্ররা যে সময় পড়াশোনা করেছেন, ছাত্রদের পড়িয়েছেন, সেই সময় কিন্তু তথ্য পাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না। তারা পাঠ্যপুস্তকের বাইরে নিজেদের শিক্ষার্থীদের জানার স্তর বাড়াতে সিলেবাসের বাইরে গিয়েছেন। যার কারণে, তারা সর্বকালের সেরা পণ্ডিত। আধুনিক সময়ে ইন্টারনেট অবাধ তথ্য প্রবাহের ব্যবস্থা করলেও আমাদের ছেলেমেয়েরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারে না। শিক্ষকরাও করে না কিংবা করতে হয় না। কারণ, পরীক্ষার খাতায় যে শিক্ষার্থী যত ভালো টেক্সটবুক উগড়ে দিতে পারে, সে ততো ভাল নম্বর পায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও তা-ই হচ্ছে। শিক্ষকদের ছাত্রজীবনের নোট-কপি শিক্ষার্থীদের গলাধঃকরণ করানো হচ্ছে, এর বাইরে তারাও বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের মতো পাঠ্যপুস্তকের বাইরে জ্ঞান বিতরণে উৎসাহী হয়ে উঠে না।

মনে করা হয়, বিজ্ঞানচর্চার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ দরকার। তাই আমাদের দেশ থেকে তেমন বিজ্ঞানী বেড়ে উঠছে না। দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে বিজ্ঞান গবেষণা সম্ভব?

বিজ্ঞানচর্চার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদের চেয়ে পর্যাপ্ত বিজ্ঞান মানসিকতা চাই। একটি রাষ্ট্র যতটা বিজ্ঞানকে আকড়ে ধরে, সেই রাষ্ট্র ততো বেশি শক্তিশালী হয়। আমাদের দেশে বিজ্ঞানের প্রতি দায়বদ্ধতা তৈরি হয়নি, ফলে দেশের সীমিত সম্পদের ব্যবহার বিজ্ঞানে হয়ে উঠছে না। একথা সত্য- সীমিত সম্পদের মধ্যে দেশে কিছু মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাও হচ্ছে। ধীরে ধীরে অন্যান্যদের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। তবে সেই আগ্রহতে সরকারের হাত বাড়িয়ে দেওয়া চাই। তাহলে আগামীতে আমরা বিজ্ঞাননির্ভর সমাজ তথা রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো।

সত্যেন্দ্রনাথ বসুর গবেষণা ‘পার্টিকেল স্ট্যাটিস্টিক্স’ আইনস্টাইন জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন ১৯২২ সালে। অনেকে বলেন, অনুবাদের অভাবে আমাদের গবেষণা আন্তর্জাতিক পরিচিতি পাচ্ছে না। মাতৃভাষা কি বিজ্ঞানচর্চার জন্য যথেষ্ট?

মাতৃভাষায় বিজ্ঞান কতটা সম্ভব জাপানের দিকে তাকালে বোঝা যায়। সেখানে একজন শিক্ষার্থী ইংরেজি না জানলেও বিজ্ঞানের এপিট ওপিঠ জানে। কারণ, সেখানে বিজ্ঞানকে জানানো হয় স্বদেশী ভাষায় লেখা পাঠ্যপুস্তকে। আপনি যখন নিজের ভাষায় কোনকিছু জানবেন, সেটি আপনার মস্তিষ্কে অনেকদিন থাকবে। কারণ, এটি আপনার স্বীয় ভাষায় অনুরণিত শব্দ বা টার্ম। হ্যাঁ একথা সত্য, বিজ্ঞানের অনেক কিছু ইংরেজিতে হয়। বিজ্ঞান সাময়িকীগুলো ইংরেজিতে, ফলে সেখানে তার একটা প্রভাব রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি চীন বা জাপানের কথা বিবেচনা করেন, তাহলে দেখবেন তাদের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নিজ দেশের ভাষায় সংকলিত হচ্ছে। এর কারণ, বিজ্ঞানকে সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এটি এলিট শ্রেণির জন্য নয়, সাধারণ মানুষ বিজ্ঞানকে জানলে তবেই তো গবেষণা বা বিজ্ঞানচর্চার বড় সার্থকতা।

এখন তো ই-বুক চলে এসেছে, মানুষ অনলাইন নির্ভর। শিশুকিশোররাও গেজেট ব্যবহার করতে শিখছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?

শুধু বাংলাদেশ নয়, এখন সারা বিশ্বের পাঠ্যক্রমে গেজেট ঢুকছে। চ্যাটজিপিটির যুগে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাঠ্যপুস্তক এখন কোনো দেশের সীমানার মধ্যে বন্দি থাকতে রাজি নয়। আমার মনে হয়, আগামীতে কাগুজে পুস্তকের যুগাবসান হবে। শিশুরা নিজেদের জানবে গেজেট নির্ভর বই, জার্নাল কিংবা ক্রিয়েটিভ সফ্টওয়্যারে।

ভবিষ্যতে কী নিয়ে গবেষণা করার পরিকল্পনা আছে আপনার?

আমি মূলত প্রোটিন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কোষের মলিকুলার লেবেলে গবেষণায় জড়িত। বর্তমানে নিউরোসায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছি। মানুষের মস্তিষ্কের সংকেতগুলো কীভাবে আমাদের প্রত্যহিক জীবন ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে তা জানার চেষ্টা করছি। মানুষের যে বিভিন্ন ধরনের নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ হচ্ছে, তা থেকে মুক্তির উপায় খোঁজার চেষ্টা করছি। মূল অ্যাকাডেমিক গবেষণার বাইরে আমি আমার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি মনে করি, একটি দেশের যদি আমূল পরিবর্তন আনতে হয়, সেইক্ষেত্রে শিক্ষা বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

কিডজ ম্যাগাজিনে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!