মাওলানা ভাসানীর অন্তরঙ্গ জীবনচরিত

বই: ভাসানী কাহিনী, লেখক: সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রকাশক: আগামী প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ: ২০১২, প্রচ্ছদ: শিবু কুমার শীল, পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১২৮, মূল্য: ২৫০ টাকা

মো. ইয়াকুব আলীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2021, 03:10 AM
Updated : 9 Feb 2021, 03:10 AM

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬) বিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। তিনি ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি ‘মজলুম জননেতা’ বা ‘মাওলানা ভাসানী’ হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁকে নিয়ে সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের বই ‘ভাসানী কাহিনী’। বইটিতে গল্পের ছলে বলা ভাসানীর জীবনের ছোট ছোট মজার কাহিনীগুলো কিশোর-তরুণদের আনন্দ দেবে এবং বাংলাদেশের ইতিহাস পাঠে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

বইটির ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, “উপমহাদেশে জনপ্রিয় নেতা অনেকেই, কিন্তু মহান নেতার সংখ্যা অতি অল্প। মাওলানা ভাসানী সেই অল্পসংখ্যক মহান নেতার একজন। বৈচিত্রময় ও ঘটনাবহুল তাঁর দীর্ঘ জীবন। তাঁকে কাছ থেকে দেখেছেন অগণিত মানুষ। তাদের অনেকের স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে তাঁর জীবনের অনেক অজানা দিক। এই বইয়ের টুকরো টুকরো কাহিনীগুলো শুধু আকর্ষণীয় নয়, মাওলানা ভাসানীর রাজনীতি বোঝার পক্ষেও তার গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি ভাসানী ও রাজনীতিবিদ ভাসানীকে জানতে আজও অজানা এই ঘটনাগুলোর কোনো বিকল্প নেই। শুধু সাধারণ পাঠক নন, লেখক ও গবেষকদেরও এ গ্রন্থ অবশ্যপাঠ্য।”

আমি ভাসানীকে আরও জানার আগ্রহবোধ করি আহমদ ছফার লেখা ‘মাওলানা ভাসানী’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ পড়ার পর। ‘মাওলানা ভাসানী’ প্রবন্ধে ছফা বলেছেন, “বাঙলার কৃষক সমাজের সত্যিকার নেতা ছিলেন মরহুম মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। মাওলানা সাহেব কৃষক সমাজের একেবারে ভেতরে গাছের মতো বেড়ে উঠেছিলেন। গাছের বেড়ে ওঠার জন্য যেটুকু আলো, জল, হাওয়ার প্রয়োজন কৃষক সমাজের দাবিগুলোকে অনেকটা সেই চোখেই দেখতেন তিনি। পড়ে পাওয়া কোনো কেতাবি উপলব্ধি দ্বারা তাড়িত হয়ে মাওলানা রাজনীতি করতে আসেননি। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাঁকে রাজনীতির দিকে ধাবিত করেছে। তাঁর ছিলো এক অনন্য সংবেদনশীল সহজাত প্রবৃত্তি। এই সহজাত প্রবৃত্তিই তাঁকে ‘জীবনে জীবন যোগ’ করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।”

সৈয়দ আবুল মকসুদের ‘ভাসানী কাহিনী’ পড়তে গিয়ে এ কথাগুলোরই সত্যতা পেয়েছি। এ বইয়ের প্রতিটি পাতায় ভাসানীর জীবনের খণ্ড খণ্ড চিত্র গল্পের আদলে ফুটে উঠেছে এবং সেই গল্প যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। সৈয়দ আবুল মকসুদ সেই গল্পগুলো বইয়ে লিপিবদ্ধ করার আগে যাচাই বাছাই করেছেন। শুধু গল্পের আদলে লেখাগুলো লেখেননি, বরং বয়ানদাতার পরিচয় এবং তখনকার পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি ভাসানীর সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন সেটাও অনুসন্ধান করেছেন। যার ফলে গল্পগুলো শুধু আর গল্প থাকেনি, হয়ে উঠেছে প্রামাণ্য দলিল। এ বই পড়ার পর মাওলানার জীবনের অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।

মাওলানা ভাসানী একাধারে ছিলেন পীর ও রাজনৈতিক নেতা, যদিও অন্যদের সঙ্গে তার তফাৎ ছিলো এই যে তিনি কৃষকদের অধিকার নিয়ে কথা বলতেন। পাশাপাশি উঠে এসেছে মাওলানার অনাড়ম্বর জীবনের নানা অজানা কাহিনী। উঠে এসেছে মাওলানার অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের গল্প। সামনে থেকে মাওলানা সবসময় সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার যখন মতের অমিল হয়েছে সেখান থেকে বের হয়ে গেছেন চাওয়া পাওয়ার হিসাব না মিলিয়েই।

কিন্তু নীতির প্রশ্নে কখনও আপোষ করেননি তিনি। মাওলানা একদিকে যেমন রাজনীতি সচেতন ছিলেন অন্যদিকে ছিলেন সমাজ সংস্কারক। উনি ঠিকই উপলব্ধি করেছিলেন সমাজের অর্ধেক নারীকে অশিক্ষিত রেখে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই নারী শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে ঘোড়ায় চড়াসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কথাও বলেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার অধিবাসী রণদা প্রসাদ সাহা সেই সময়ে মেয়েদেরকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলছিলেন দেখে মাওলানা বলেছিলেন, ‘সেই পঞ্চাশের দশকে রণদা বাবু তাঁর মেয়েদের ঘোড়ায় চড়া শিখিয়েছেন, রক্ষণশীল ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন বাঙালি সমাজে এটা কম বড় কথা নয়।’

এ বইয়ে ঘুরেফিরে এসেছে মাওলানার আটপৌরে জীবনবোধের গল্প। যা পড়লে মনেই হয় না যে এসব কোন রাজনৈতিক নেতার জীবনের গল্প, বরং মনে হয় গ্রামের কোন সাধারণ কৃষকের গল্প। মাওলানা কখনও নদীর বুকে জেগে থাকা চরে আটকে যাওয়া নৌকা ঠেলছেন, আবার কখনও তাঁকে দেখা যাচ্ছে অতিথির জন্য রান্না করার কাঠ চেরাতে, আবার দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তা তৈরি করতে।

পাশাপাশি এসেছে মাওলানার ভাষা এবং রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞার গল্প। মাওলানা বাংলার পাশাপাশি দরকার হলে হিন্দি ও উর্দু ভাষাতেও বক্তব্য দিতেন, এমনকি তাঁকে দেখা যায় বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইংরেজিতেও আলাপ করতে। সবকিছু ছাপিয়ে এসেছে মাওলানার আন্তরিকতার গল্পগুলো। মানুষকে আপ্যায়ন না করে ছাড়তেন না কখনও, দরকার হলে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াতেন।

মাওলানার প্রথম জীবনের রাজনীতি থেকে শুরু করে জীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ের বিভিন্ন ঘটনা এ বইয়ে স্থান পেয়েছে। যেমন মাওলানার প্রথম জীবনের রাজনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘...বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের শেষ দিকে তিনি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি উপলব্ধি করেন এইভাবে লুটতরাজ করে ভারতের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। তখন তিনি সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন থেকে সরে আসেন।”

মাওলানা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সবসময়ই সাধারণ জনমানুষের অধিকারের জন্য লড়েছেন। আর শোষক বিরোধী বিভিন্ন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ওয়াজ মাহফিলেও শোষক বিরোধী বক্তব্য দিতেন। তাই উনার ওয়াজ মাহফিলে সব ধর্মের এবং সব বর্ণের শ্রোতাদের সমাবেশ ঘটতো। মাওলানা বাস্তব জীবনে ইসলামের নিয়ম কানুন পালন করলেও মনেপ্রাণে ছিলেন পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাতাদের একজন হয়েও মাওলানা কিন্তু জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের সমর্থক ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের পক্ষে। পাকিস্তান শুধু মুসলমানদের আবাসভূমি হবে এ রীতির তিনি ছিলেন ঘোর বিরোধী। তিনি বলতেন, ‘পাকিস্তান কোনো ইসলামী রাষ্ট্র বা ধর্মরাষ্ট্র হবে না; পাকিস্তান হবে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।’ তিনি বলতেন, ‘পূর্ব বাংলা থেকে হিন্দুরা চলে গেলে বাঙালি কালচার নষ্ট হয়ে যাবে।’

পশ্চিম পাকিস্তানের লোকেরা বাংলা ভাষার সঙ্গে নামাজ তথা ধর্মের সাংঘর্ষিক একটা ব্যাখ্যা পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিলো। একবার পশ্চিম পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মাওলানার কথা হলে তিনি বলেন, “ধর্মের সঙ্গে ভাষার কোন সম্পর্ক নাই। ধর্ম এক জিনিস আর ভাষা আর একটি জিনিস। একটির সঙ্গে অন্যটিকে যারা মেশায় তারা অসৎ ও মতলববাজ। উর্দুর সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক কী? আরব দেশের মানুষ উর্দুতে কথা বলে নাকি? ইরানের মানুষ কি উর্দু জানে? উর্দু কি দুনিয়ার সব মুসলমানের ভাষা? বাংলাকে যারা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা চায় তারা পাকিস্তানের দুশমন নয়। যারা চায় না তারাই পাকিস্তানের দুশমন। পাকিস্তানের যদি ক্ষতি হয় তাহলে বাংলা-বিরোধীদের দ্বারাই হবে।”

মাওলানা সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের বিরুদ্ধে বলেছেন, “যেসব মুসলমান হিন্দুদের বিধর্মী মনে করে, তাদের ক্ষতি করতে চায়, আমি তাদের বলি তোমরা কারা? খুব বেশি হইলে চার-পাঁচ পুরুষ আগে তোমরা কারা ছিলা? তোমাদের বাপ-দাদার বাপ-দাদারা ছিলেন হয় হিন্দু নয় নমঃশূদ্র। এ দেশের হিন্দু আর মুসলমানের একই রক্ত। কতজন আরব ইরান-আফগানিস্তান হইতে আসিয়াছে? পাঁচ পুরুষ আগে যারা ছিলো তোমাদের পূর্বপুরুষ আজ তাদের গায়ে হাত তুলতে তোমাদের বুক কাঁপে না? তোমরা কি মানুষ না পশু?”

মাওলানা শেকড়কে ভালোবাসতে তার সমস্যা-সুবিধার খোঁজ রাখতে বলেছেন। একবার এক কৃষকের ছেলে যে এলাকার কৃষকদের খবর জানে না কিন্তু সে ছাত্ররাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিলে মাওলানা তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার বাপ কী করে?’ ছেলেটি উত্তর দেয়- কৃষক। তখন মাওলানা বলেন, “কৃষকের ছেলে হইয়া এলাকার কৃষকদের অবস্থা বলতে পারো না। তুমি করবা ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি। তোমারে দিয়া ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি হইব না। কলেজে পড়তে গিয়া বাপ-দাদার পেশার কথা ভুইলা গেছ। সমাজতন্ত্রের আন্দোলন তোমারে দিয়া হইব না। ভালো কইরা পড়ালেখা কইরা পাশ করো গিয়া। চাকরি-বাকরি করো। তবে ঘুষ খাইয়ো না, দুর্নীতি কইরো না। ছাত্রনেতা হওয়ার দরকার নাই, ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো।”

মাওলানা মোটেও বৈষয়িক ছিলেন না। আসাম মুসলিম লীগ নেতা ও স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের মন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর স্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, “মাওলানা থাকেন ছনের ঘরে। সেটাও এমন বড় কিছু নয়। ঘরে ঢুকে দেখি চেয়ার-টেবিল খাট-পালঙ্ক তো দূরের কথা, একটি সাধারণ চৌকি পর্যন্ত নেই। মেঝেতে খড় বিছানো। তার ওপর শীতলপাটি বিছানো। তার ওপর একটা পাতলা তোশক।”

মাওলানার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ঢাকাতে কোন স্থায়ী আবাস ছিলো না। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের বাসায় থাকতেন আর থাকতেন হোটেলে। তবে নিজে বৈষয়িক না হয়েও অনেককে বৈষয়িক উপদেশ দিতেন। মাওলানা সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেন, “আসলে তিনি সোজা-সরল ধরনের মানুষ। রেখেঢেকে মেপেবুঝে কথা বলতে জানেন না। মনে যা ভাবেন মুখে তাই বলেন। খোলামেলা মানুষ। তাতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তাছাড়া তিনি মাটির মানুষের একেবারে কাছে আছেন। তাদের সুখ-দুঃখ-অনুভূতি তিনি ভালো বোঝেন, যা উপমহাদেশের আর কোন নেতা অনুভব করতে পারেন না। ভাসানীর রাজনীতি সম্পূর্ণ অন্য ধরনের রাজনীতি, প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে যার মিল নেই।”

‘ভাসানী কাহিনী’ বইয়ের মুখবন্ধে লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ লিখেন, “জাতীয় জীবনের রাজনীতির অঙ্গনে মাওলানা ভাসানী আজ অবহেলিত। দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকদের কাছে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।”

উপক্রমণিকায় বলেন, “অন্য জাতীয়তাবাদী নেতার সঙ্গে তাঁর পার্থক্য এখানে যে, তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে দরিদ্র কৃষক ও গ্রামের খেটে-খাওয়া মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য জমিদার-মহাজন প্রভৃতি শোষকশ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।... পাকিস্তানের রাজনীতিতে তাঁর সময়ে তিনি ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। যদিও সব সময়ই তিনি ছিলেন ক্ষমতার বাইরে।... ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দেশের এমন কোন রাজনৈতিক আন্দোলন ছিলো না যার নেতৃত্ব দেননি মাওলানা ভাসানী।”

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!