হেমন্তের শেষে শীত এলো কুয়াশার চাদরে
হে মানব শরীর ঢাকো জানান দিল আদরে।
ঘাস-পাতাতে শিশির কণা নুয়ে নুয়ে পড়ে
বুড়ো-বুড়ি কাঁপছে শীতে এক কাঁথা মুড়ে।
বায়না করে জিদ্দি শিশু যাবে সে বাইরে
মা তাকে জাপটে রাখে কম্বলের ভেতরে।
কৃষক চাচার ঘুম ভাঙে মোরগের ডাকে
লাঙল কাঁধে চলে সে চাষের জমির দিকে।
পাকা ধানের গন্ধে ও মনটা যে যায় জুড়ি
খেজুর গাছে ঝুলছে ওই রসভর্তি হাঁড়ি।
ছনবনে এক শিশুর দল কাঠ-কয়লা পুড়ে
রাস্তার ধারে গোল হয়ে শীত তাড়ায় দূরে।
পাড়ার মোড়ে ভিড় জমে খেতে ভাপা পিঠা
কমলা দাদীর হাতে বানানো লাগে বড় মিঠা।
নতুন ধান ঘরে উঠেছে কৃষক রমণী খুশি
মাঠের পর মাঠ বয়ে যায় সর্ষে ফুলের হাসি।
পিঠা-পুলির ধুম পড়েছে আত্মীয়দের সাথে
বর্ণিল পিঠা সেজে ওঠে নতুন বৌয়ের হাতে।
নানা রঙে রাঙা থাকে শীত ঋতু বেশ
খুঁজে কোথাও পাবে না এমন সুন্দর দেশ।
লেখক পরিচিতি: তাহানাজ আরোহী, সপ্তম শ্রেণি, চরকুড়ুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনা
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |