পিয়াস মজিদ
শিল্পী
(প্রতিদিন মা দিবস, পৃথিবীটা মায়ের গর্ভের গৌরব)
কাকভোরে ঘুম ভেঙে যায় মা’র
সেই সকাল থেকে শুরু হয় তার শিল্পকলার আয়োজন।
গনগনে উনুনের আঁচ সইতে সইতে
আর নাশতার টেবিল সাজানোর মধ্য দিয়ে
তিনি রচনা করেন অনুপম ভৈরবী।
দুপুরের দিকে এই গীত আরো ঘন হয়
মধ্যাহ্নভোজের চকমকি বাহারে।
সূর্য ডুবতে না ডুবতেই
আবার তার ওপর ভর করে রন্ধন-পূরবী।
রাতের খাবার শেষে আমরা টের পাই
দিনভর মায়ের গেঁথে তোলা গানটার
সম্পূর্ণ সুর-তাল-লয়।
আজন্ম দেখছি মায়ের এমন নিবেদিত সাধনা।
এখন আর কাউকে তার চেয়ে বড় শিল্পী মনে হয় না।
লেখক: কবি, পেশায় বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা
আলাউদ্দিন হোসেন
ভালোবাসা
মায়ের প্রতি ভালোবাসা
সুখ আর সুখ
মায়ের মুখে রঙিন হাসি
রঙিন প্রিয় মুখ।
জন্মদাতা শ্রেষ্ঠ পিতা
ভালোবাসার ঘ্রাণ
মাথার উপর বটের ছায়া
জুড়ায় মনপ্রাণ।
ভাইবোনের ভালোবাসা
জনম জনম ভর
মিষ্টিমধুর ভালোবাসা
রঙে ভরা ঘর।
মায়ের আঁচল
মায়ের হাসি দিবানিশি
সুখ আর সুখ
আঁচলজুড়ে ভালবাসা
সমাপ্তি সব দুখ।
মিষ্টি মধুর কথা বলা
স্বর্গ সুখের হাসি
আঁচলজুড়ে আদর মায়া
আনন্দ রাশি রাশি।
স্বার্থছাড়া ভালবাসা
মায়ের মুখের হাসি
দিবানিশি মাকে আমি
বড্ড ভালবাসি।
আমার মা
আমার মায়ের আঁচলখানা
ভালোবাসার ঘর
ভালোবাসায় যুক্ত রব
জনম জনম ভর।
মা যে আমার বেহেস্ত
অন্য কোথাও নাই
মায়ের কোলেই আমি আমার
বেহেস্ত খুঁজে পাই।
মায়ের মুখের হাসি যেন
স্বর্গ থেকে আসা
আঁচল দিয়ে জড়িয়ে রাখে
মধুর ভালোবাসা।
লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, পাবনা
শাওন ইসলাম রকি
সে আমার মা
আমার কাছে 'মা' শব্দ খুব যে আপন কাছের
তুলনা তাই করবো আমি সুবিশাল এক গাছের।
দেখতাম না দুনিয়া আমি যদি না রেখে জিম্মা
দশমাস যদি পেটে ধারণ না করতো সেই মা।
সহ্য করে প্রসাব ব্যথা যা হয় মৃত্যু তুল্য
কী দিয়ে যে শোধ করিব সেই ব্যথারই মূল্য।
তাহার মাঝে শেষ হয়নি মায়ের কষ্ট জ্বালা
প্রতিযোগিতা শুরু হলো পালন করার পালা।
ক্ষুধা আমার মিটিয়েছে মা দুধ যে তাহার নাম
দিতে কি পারবো আমি একটি ফোঁটার দাম?
মায়ের কাছে হয়নি আমায় পালতে কভু কষ্ট
যদিও মা হয়েছে আমার জন্য চরম অতিষ্ঠ।
মায়ের কাছে হলাম আমি সাত রাজারই ধন
কে বা আছে মায়ের চেয়ে ধরণীতে আপনজন।
করেছে মা আমার জন্য রাত্রি জাগরণ
হয়েছে যখন আমার দেহ রোগব্যাধিতে রুগণ্।
সুখ-দুঃখের সকল কথা বলা যায় মোর মাকে
মায়ের দোয়াতেই প্রভু তাই আমাকে সুস্থ রাখে।
নিজ হাতে মা খাইয়েছে মোরে মাছ-মাংস-ভাত
প্রয়োজন ছাড়া আমার জন্য শোয়নি অন্য কাত!
শিখেছি আমি মায়ের কাছে মধুর ভাষা বুলি
দোলনাতে যখন মায়ের সাথে টকটকাটক খেলি।
ঢলেছি আমি ঘুম সময়ে আমার মায়ের কোলে
গল্প শোনায় গগনে যখন জোছনা তারা মেলে।
মা যে আমার দোয়া করে অশ্রু ভেজা চোখে
সুস্থ ও অনেক বড় হবে সন্তান যেথায় থাকে।
আমি হলাম মায়ের পাগল পিছুপিছু তার থাকি
রাখেনি সে দিতে আবদার সাধ্য ছাড়া বাকি।
সন্তান আমার বড় হবে মায়ের মনে দোলে আশা
যেমন করে উড়াল দিয়ে যায় যে রোবট নাসা।
মা ছাড়া তো যায় না করা কল্পনাতেও খেলা
আনন্দ আর মজায় কাটে বাল্য-কিশোর বেলা।
মা ছাড়া মোর নেইকো দামি আপন কিছু জমা
ভালোবাসি আমি তাকে খুব সে যে আমার মা।
লেখক: শিক্ষার্থী, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |