আবদুল হামিদ মাহবুব
আঁকছি সেই ছবি
জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির ছোট্ট ছেলে রবি
একদিন যা করেছিলেন আঁকছি সেই ছবি।
পাজির পাজি দুষ্টু বিড়াল পুচকে যেটা খুব
সেই ছানাকে বলেন ডেকে পড়তে বসো চুপ।
পুচকে ওটা মিঁয়াও মিঁয়াও কেবলই যায় ডেকে
বলেন রবি পড়ো পড়ো এই যে বই দেখে।
ছানায় ডাকে মিঁয়াও মিঁয়াও রবি বলেন ওরে
সকল কিছু যায় রে জানা কেবলই বই পড়ে।
বিড়াল ছানা ডেকেই যায় মিঁয়াও মিঁয়াও মিঁয়াও
পড়বো না রে পড়বো না যাও রে চলে যাও।
বিড়াল ছানা দীক্ষা নিতে হয়নি যখন রাজি
মাস্টারিতে ইতি টেনে গর্জে বলেন পাজি!
হাতের বেত ছুড়ে ফেলে লাফটা দিয়ে উঠে
কেঁদেকেটে গেলেন তিনি মায়ের কাছে ছুটে।
কী হয়েছে কী হয়েছে জানতে আসে সবে
জানার পরে কাঁপলো বাড়ি অট্টহাসির রবে।
সেইতো রবি হলে প্রিয় তোমার আমার কাকুর
নোবেল জয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রানাকুমার সিংহ
রবির আলোয়
রবির আলোয় উদ্ভাসিত
রবির আলো মেখে
সাহিত্য-গান-গল্প-ছড়ায়
স্বপ্নকে যায় এঁকে।
আমার সোনার বাংলা বুকে
খুব মমতায় রেখে
রবির সুরে দেশকে ভালো
বাসার কথা শেখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রিয়
প্রাণের ভেতর থেকে
ছোট্ট যারা ফুলের মতো
অবাক চোখে দেখে।
সেই ছোটরাও পাতায় পাতায়
রবির কথা লেখে
হাত তোলে সব জিগাই যখন
ভক্ত রবির কে কে?
রবির ছড়া
সাহিত্য আর কাব্য প্রিয়
আমার ছোট কাকুর
তার প্রিয় খুব বিশ্বকবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবির গড়া কাব্য-নাটক
গান বলো বা ছড়া
কাকুর কাছে বেশিরভাগই
রয়নি বাকি পড়া।
কাক্কু বলেন মন দিয়ে শোন্
পড়বি রবির লেখা
এই জীবনে শিখবি তাতে
জ্ঞানের পাবি দেখা।
পড়বি যত অবিরত
ভাগবে দূরে কালো
রবীন্দ্রনাথ মননজুড়ে
যায় ছড়িয়ে আলো।
আবু আফজাল সালেহ
রবি ঠাকুর ও শিশুপাঠ
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
জন্ম নিয়ে রবি
দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বসভায়
সুনাম ছড়িয়ে কবি।
সুয়োরানি দুয়োরানি
বৃষ্টি টাপুর-টুপুর
শ্রাবণধারা বৃষ্টি ফোঁটায়
পানি ভরা পুকুর।
শিশুপাঠক নেচে বলে
‘আজ আমাদের ছুটি’
নোভা-প্রভা অরুণ-বরুণ
হেসেই কুটিকুটি।
তাদের হাসি দেখে
ব্যাঙে ডাকে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
খুশি হয়ে ইঁদুরছানা
খোঁজে সোনাব্যাঙ।
আমি পড়ি রবীন্দ্রনাথ
আমি পড়ি রবীন্দ্রনাথ
মাঝে মাঝে প্রায়ই পড়ি
বাংলা ভাষা শিল্পরূপে
অ আ ক খ হাতেখড়ি।
আমি পড়ি রবীন্দ্রনাথ
বাইশে শ্রাবণের কবিতা
‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’
মেঘ মল্লার সবিতা।
আমি পড়ি রবীন্দ্রনাথ
ছুটির দিনে, বীরপুরুষ, খেয়া
বৃষ্টির দিনে ডাকে মাঝি
যখন জোরসে ডাকে দেয়া।
আমি পড়ি রবীন্দ্রনাথ
সোনার তরী, গীতাঞ্জলি
শ্রাবণ এলেই মনে পড়ে
ঝুমসে বৃষ্টির শ্রদ্ধাঞ্জলি।
শাহ্জাহান সিরাজ
বিশ্বকবির জন্মদিনে
বৈশাখ মাসের পঁচিশ তারিখ
জন্ম ছেলেটির
এই ছেলেটি বাংলা ভাষার
কলম হাতে বীর।
গল্প ছড়া গান কবিতায়
ছেলেটি হয় পাকা
লিখনি তাঁর খুব ধারালো
ছিল জাদুমাখা।
এই ছেলেটির গীতাঞ্জলি
ভুবন করে জয়
সারাবিশ্বে তুলে ধরে
বাংলার পরিচয়।
এই ছেলেটি জয় করে নেয়
নোবেল পুরস্কার
বাংলা ভাষার কবিগুরু
বাংলার অহংকার।
জানতে কি চাও কাব্য লিখায়
কার সে পাকা হাত?
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির
সে রবীন্দ্রনাথ।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |