পারুলের পাতিহাঁস

একটি পাতিহাঁসের গল্প এটি। সন্ধ্যার কালো পানিতে ভেসে বেড়াতো সেই হাঁস। সাদা-কালো ডোরাকাটা পালকে মোড়া ছিল হাঁসটি।

আসাদ জোবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2019, 09:54 AM
Updated : 11 Nov 2019, 09:54 AM

পারুলের বুকের মধ্যে আদর খেয়ে প্যাক প্যাক করতো সেই হাঁস। মারা যাওয়ার পরও হাঁসটা কিভাবে ফিরে এসেছিল সেই গল্প বলছি তোমাদের।

গ্রামের নাম ঝুমুরপাড়া। ঝুমুর ঝুমুর বৃষ্টি হয় এই গ্রামে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি ছোট্ট নদী, নাম- নহেলা। গ্রামের লোকজন বলে নয়লা নদী। নয়লা নদীর পাড়েই পারুলদের ঘর। ওদের ঘরের এক পাশে নদীর চর। আরেক পাশে বড় একটা পুকুর। কালো তার পানি। পারুল তার দাদু-দাদির সঙ্গে থাকে। মা মারা যাওয়ার পর বাবা আরেকটা বিয়ে করে অন্য গ্রামে ঘর তুলে থাকে।

পারুল ইশকুলে যায়। কিন্তু খাতা-কলম কেনার টাকা দিতে পারেন না দাদু। তবে একটা হাঁসের ছানা কিনে দেন দাদু। এই হাঁস বড় হয়ে ডিম দেবে। তা বিক্রি করেই পারুলের ইশকুলের খরচ মিটবে। খাতা, কলম, বই কিনতে পারবে। পারুল তাই অপেক্ষা করে। বুকে চেপে ধরে আদর করে হাঁসের ছানাকে।

ধীরে ধীরে হলুদ নরম পালক ঝরে যায় ছানাটার। এরপর সাদা-কালো ডোরাকাটা পালক গজায়। পারুল বুকে মধ্যে চেপে ধরে রাখে হাঁসটিকে। আদর খেয়ে প্যাক প্যাক করে সে। পুকুরের কালো পানিতে ভেসে বেড়ায় হাঁস। পারুল বসে থাকে পাড়ে। পাতিহাঁস পানিতে ডুব দেয়। পারুল বসে থাকে। পাতিহাঁস শামুক গিলে খায়। পারুল বসে থাকে।

সন্ধ্যার পর পুকুরের পানি আরো কালো হয়ে যায়। পারুল তখন ‘চই চই, চই চই’ বলে ডাকে। পাতিহাঁস উঠে আসে পাড়ে। খপ করে ধরে বুকে চেপে ঘরে ফেরে পারুল। একদিন ডিম দেওয়া শুরু করে পাতিহাঁস। পারুলের চোখ ছানাবড়া। হাঁসের ছোট্ট ঘর থেকে ডিম বের করে আনে সে। এই এক ডিম বিক্রি করলেই একটি কলম ও একটি খাতা কেনা যাবে। ইশকুলের স্যার আর বকবেন না। আনন্দে চোখ ভিজে যায় পারুলের। ডিম রেখে হাঁসটিকে ধরে বুকের মধ্যে নেয়। চুমু দেয় চকচকে পালকে। পাতিহাঁস প্যাক প্যাক করে আদর খায়।

প্রতিদিন ডিম দিতে থাকে হাঁস। পারুল ডিমগুলো পানিতে ধুয়ে নিজের জামায় মুছে মটকির মধ্যে রেখে দেয়। এক হালি হলেই সালু কাকার দোকানে দিয়ে আসে। সালু কাকা তাকে ২৫ টাকা দেয়। দোকান থেকে কিছু কেনার থাকলে কিনে নেয় ওই টাকায়। নয়তো বাড়ি গিয়ে টাকাটা বাক্সে রেখে দেয়। পড়ালেখার খরচের জন্য এখন আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না। ইশকুলের স্যার, মিসরাও বকাঝকা করে না।

অলঙ্করণ: সমর মজুমদার

মনযোগ দিয়ে পড়ালেখা করে পারুল। একদিন সে অনেক বড় ম্যাডাম হবে। শাড়িতে কুঁচি দিয়ে হাতে ছাতা নিয়ে হেঁটে যাবে পারুল। লোকে দেখে সমীহ করবে। ম্যাডাম ম্যাডাম বলে জায়গা ছেড়ে দেবে। মাটির দেওয়ালে আটকে রাখা আয়নায় নিজেকে দেখে পারুল। একদিন তার চেহারা হুরপরিদের মতো হবে।

একদিন দুপুরের ঘটনা। ইশকুল থেকে ফিরে ভাত খায় পারুল। তারপর বাটিতে কিছু ভাত নিয়ে পুকুরপাড়ে যায়। হাঁসটিকে খাওয়াবে বলে। কিন্তু পুকুরের পানি আজ খুব শান্ত। শ্যাওলার স্তর একট্ওু নড়ছে না। বুকের মধ্যে ধক করে ওঠে পারুলের। পাতিহাঁসটি কোথায় গেল? পুকুরের পানিতে নেই। তবে কি পুকুরপাড়ে কোথাও বসে ঝিমুচ্ছে? তন্নতন্ন করে খুঁজতে থাকে পারুল।

না তো, কোথাও নেই। নেই তো নেই। বাড়ির আশপাশ, নয়লা নদীর চর, ধানের জমি, কাশবন, বাঁশঝাড়, কলমির ঝোপ, খলসে বিলে কচুরিপানার ঝোপ- নাহ, কোথাও নেই।

খুঁজতে খুঁজতে সন্ধ্যা হয়ে আসে। পারুলের চোখ ভেসে যায় পানিতে। গলা শুকিয়ে যায়। বুকে ব্যাথা হয়। পা স্থির হয়ে যায়। হাত অবশ হয়ে যায়।

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়। কালো মেঘে ঢেকে যায় রূপালি চাঁদ। গুড়ুম গুড়ুম মেঘ ডাকে। বিজলি চমকায়। ঝুম বৃষ্টিতে ভেসে যায় ঝুমুরপাড়া। রাত গভীর হয়। পারুলের বুক চেপে যায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। দাদি এসে বুকে সরিষার তেল মালিশ করে দেন। দাদির কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যায় পারুল।

সকালে সোনার রোদে ভেজা গাছপালা চিকচিক করে। ঘর থেকে বেরিবে ভেজা মাটিতে পা ফেলে পারুল। মাথার এক পাশে এখনো চিনচিন করছে। আজ সে ইশকুলে যাবে না। ভাঙা মন আর ফোলা ফোলা চোখ নিয়ে কি ইশকুলে যাওয়া যায়? যায় না। পারুল ভেজা মাটিতে ভর দিয়ে চলে যায় নয়লা নদীর দিকে। দাদি মুড়ি খাওয়ার জন্য পেছন থেকে ডাকেন। সে ডাক শুনতে পায় না পারুল। কি এক ঘোরের মধ্যে সে চলে যায় নয়লার চরে।

নদীর ঢাল বেয়ে নিচে নেমে যায় পারুল। ভেজা বালুতে পা রেখে হাঁটতে থাকে সে। চরের জমিতে ভুট্টার ক্ষেত। ক্ষেত পার হয়ে নদীর কাছাকাছি চলে যায় পারুল। বালুর ছোট্ট এক ঢিপির কাছে গিয়ে দাঁড়ায় সে। বৃষ্টির পানিতে বালু ধুয়ে গেছে। সেখানে বেরিয়ে পড়েছে কয়েকটা পালক। ডোরাকাটা হাঁসের পালক। হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে পারুল। বালু সরাতে থাকে দুই হাতে। আর বেরিয়ে আসতে থাকে হাঁসের পাখার পালক। লেজের পালক। বুকের পালক। এক সময় পালকের স্তুপ জমে গেল।

এবার সে ভেজা বালু নিয়ে কাজ করা শুরু করে। দুই হাতে পরম যত্নে বালু দিয়ে একটা বলের মতো বানায়। ঠিক বলের মতো না। ডিমের মতো দুই দিকে একটু লম্বা। এবার চরের গর্ত থেকে কচুরিপানা নিয়ে আসে। কচুরির পাতার নিচের পেট আলাদা করে। ওটা বসিয়ে দেয় বালুর বলের এক পাশে। এবার ওটা একটা হাঁসের মতো মনে হতে থাকে। তারপর পালকগুলো নিয়ে বসিয়ে দেয় বালুর গায়ে। একটু পরেই আস্ত একটা হাঁসের আদল পেয়ে যায়। পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করে দেয় পারুল।

এই কি করিসরে ওখানে?

কর্কশ ডাক শুনে ঘুরে দাঁড়ায় পারুল। একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে বান্টি নামের এক দুষ্টু ছেলে। এই ছেলেকে খুব চেনে পারুল। রাস্তায় দেখা হলেই কটু কথা বলে। পায়ের মধ্যে পা ঢুকিয়ে ফেলে দিতে চায়। ওকে দেখলেই এড়িয়ে চলে পারুল। কথা বলে না ওর সঙ্গে। কিন্তু আজ পারুল অন্যরকম। জবাব দেয় গলা বাড়িয়ে।

কী করি না করি, তাতে তোর কিরে বান্টি? তুই যা এখান থেকে।

দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।

এগিয়ে আসে বান্টি। বাঁকা চোখে পারুলের হাতে বানানো হাঁসের দিকে তাকায়। এরপর এক লাথি মেরে সব গুড়িয়ে দেয়। পারুল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বান্টি ছিটকে পড়ে যায় পাশে। এরপর দুজনেই খেয়াল করে বেশ কয়েকটা পালক লেগে আছে বান্টির ডান পায়ে। বান্টি বাম পা দিয়ে ওগুলো সরানোর চেষ্টা করে। সরে না। আঠার মতো লেগে থাকে। এরপর হাত দিয়ে সরানোর চেষ্টা করে। পারে না। দৌড়ে পানির কাছে যায়। পানিতে পা ডুবিয়ে নাড়াচাড়া করে। কিন্তু পালক যেন আরো শক্ত হয়ে গেঁথে যায়। আরো নাড়াচাড়া করে পা, পালক যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে।

পা একটু স্থির করে বান্টি। দেখে পায়ের চামড়া ভেদ করে পালক গজাচ্ছে। ভয়ে চিৎকার করে ওঠে বান্টি। সাদা-কালো ডোরাকাটা পালক বেরিয়ে আসছে। পায়ের পাতার ওপরের অংশ পুরো পালকে ঢেকে যায়। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে বান্টি। পারুল ভয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে। কিছু বুঝতে পারে না সে।

বান্টি উঠে বাড়ির দিকে দৌড় দেয়। কিন্তু পা ফেলার তালে তালে ‘প্যাক প্যাক’ শব্দ হতে থাকে। দাঁড়িয়ে যায়। খেয়াল করে- তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে আস্ত একটা হাঁসের মাথা। প্যাক প্যাক করছে সেই মাথা। পারুলও পেছনে এসে দাঁড়িয়ে আছে। সে দেখেই চিনতে পারে। এটা তো তারই সেই প্রিয় হাঁস। বুকের মধ্যে ধক করে ওঠে তার। একটু ছুঁয়ে দিতে পারলে বুকটা শান্ত হতো তার। কিন্তু ওটা তো বান্টির পায়ের সঙ্গে জোড়া লাগানো। কিছুই বুঝতে পারছে না পারুল।

সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। কালো আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। পারুলদের বাড়ির সামনের পুকুরের পানি আরো কালো হয়ে গেছে। এই পুকুরের ঘাটে বসে আছে বান্টি। ডান পাটা পানিতে ভাসছে। তার আগায় লেগে আছে ডোরাকাটা পাতিহাঁস। পা শুকনায় উঠালেই হাঁস অস্থির হয়ে প্যাক প্যাক করে। বান্টির পায়ের রগে টান পড়ে তখন। ব্যথা হয়। বাধ্য হয়ে সে বসে আছে পুকুরেরঘাটে। পুকুরের চার পাড়ে শত শত মানুষ ভিড় করছে। কি হয়, শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য। বিকেল থেকে তারা দাঁড়িয়ে আছে।

সন্ধ্যা হয়ে রাতের অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে সবাই। কিন্তু কেউ এক পা-ও নড়ে না। বান্টির শেষ পরিণতি দেখেই তবে যাবে তারা। অনেকেই হারিকেন, কুপি জ্বালিয়ে আনল। একটা কুপি একজন বান্টির পাশে রেখে এলো। তার আলোয় সবাই দেখতে পাচ্ছে- ভেসে আসা একটা কচুরিপানায় ঠোঁট ঢুকে দিয়ে গতগত করছে হাঁসটা। একটু পরপর মুখ তুলে প্যাক প্যাক করে আবার ডুব দেয় কচুরিপানায়। হালকা ঢেউ খেলে যেতে থাকে পুকুরের পানিতে। হারিকেন আর কুপির আলোয় সেই ঢেউ চমৎকার আলোর খেলায় পরিণত হয়।

বাড়ির দরজার চৌকাঠে বসে আছে পারুল, পারুলের দাদু ও দাদি। বান্টির বাবা ময়েজ মিঞা এসে পারুলের সামনে হাঁটুগেড়ে বসে পড়ে। বলে- মা পারুল, তুই আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে পারিস। ওটা তোরই হাঁস। তোর হাঁস তুই ফিরিয়ে নে মা।

আমি তো কিছুই জানি না চাচা। আমারা হাঁস তো হারিয়ে গেছে। কে যেন খেয়ে ফেলেছে ওটা। নয়লার চরে পালক পড়ে থাকতে দেখেছি।

ওরা কথা বলা শুরু করতেই অনেক মানুষ ওদের ঘিরে ধরে জটলা পাকায়। ময়েজ মিয়া পেছন ফিরে একটু দেখে নেয়। তারপর উঠে দাঁড়ায়। চিৎকার করে সে বলে- তোমরা সবাই শোনো একটা কথা।

ময়েজ মিয়ার কথায় শোরগোল পড়ে যায় চারপাশ। গলা উঁচু করে কথা শোনার চেষ্টা করে সবাই।

ময়েজ মিয়া বলেন- আমি খুব লজ্জিত। আপনারা আমাকে যা শাস্তি দেবেন তাই মাথা পেতে নিব। কাল একটা বড় অপরাধ করে ফেলেছি আমি। পারুলের একটা পাতিহাঁস ছিল। সেই হাঁসের ডিম বিক্রি করে সে পড়ালেখা করতো। কাল দুপুরে সেই হাঁস আমার ছেলে ধরে নিয়ে বাড়ি যায়। আমি তা জবাই করি। এরপর আমরা সবাই মিলে তা খেয়ে ফেলেছি। আজ সেই হাঁসটাই আমার ছেলের পায়ে ভর করেছে।

ময়েজ চাচার কথা শুনে পারুলের গাল বেয়ে পানি পড়তে থাকে।

ময়েজ মিয়া আবার বলেন- আমি এই পারুল মায়ের পড়ালেখার সব খরচ দিতে চাই। আপনারা তাহলে আমাকে মাফ করে দিবেন?

সবাই একসঙ্গে বলে ওঠে- ঠিক আছে, ঠিক আছে, মাফ করে দিলাম।

ময়েজ মিয়া দুই হাত তুলে এবার বলেন, আপনারা সবাই বাড়ি চলে যান। গিয়ে এশার নামাজ পড়েন। আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

কিছু মানুষ ঘরে ফিরে যায়। কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে। রাত গভীর হতে থাকে। ময়েজ মিয়া এক থালা খাবার এনে বান্টিকে খাওয়ায়। এরপর এক বাটি গুড়া এনে হাঁসকে খাওয়ায়।

পারুল আগের মতোই দরজার চৌকাঠে বসে থাকে। দাদু-দাদি ঘরে চলে গেছে।

রাত গভীর হতে থাকে। পুব আকাশের চাঁদ ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। বাঁশঝাড়ের ফাঁক গলে চাঁদেও আলো পড়ে পুকুরে। পুকুরের পানি তখনো দুলছে। চাঁদের আলোও দুলতে থাকে।

ময়েজ মিয়া বসে থাকে। পারুল বসে থাকে। আরো অনেকেই বসে থাকে। বান্টি বসে আছে ঘাটে। পাতিহাঁস বসে আছে বান্টির পায়ে। রাত গড়িয়ে আকাশ সাদা হতে থাকে। চাঁদ আর দেখা যাচ্ছে না। কোনো গাছের আড়ালে চলে গেছে। কুক কুরু কু... বলে ডেকে ওঠে মোরগ।

হঠাৎ সবার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। পাতিহাঁসটা জোরে পাখা ঝাপটাতে থাকে। পানি ছিটকে উঠে গা ভিজে যায় অনেকের। আরো জোরে, আরো জোরে পাখা ঝাপটাতে থাকে হাঁসটা। উথাল-পাথাল করে ওঠে পুকুর। তারপর এক সময় হাঁসটা শূন্যে ভেসে ওঠে। পা থেকে আলাদা হয়ে গেছে ওটা। ভাসতে ভাসতে ওটা উপরের দিকে মোড় নেয়। তারপর বাঁশঝাড়, আর গাছ-পালার ফাঁক দিয়ে আকাশে উড়ে চলে যায়। সবার চোখের সামনে থেকেই এক সময় অদৃশ্য হয়ে যায় সাদা-কালো পাতিহাঁসটা।

ওদিকে বান্টি চিত হয়ে শুয়ে আছে পুকুরঘাটে। ডান পা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। সবাই ধরাধরি করে তাকে ঘরে নিয়ে যায়। পারুল তখনো বসে থাকে বাড়ির দরজার চৌকাঠে। উদাস চোখে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। যে পথ দিয়ে উড়ে গেছে তার প্রিয় পাতিহাঁস। সাদা-কালো ডোরাকাটা পাতিহাঁস। বুকের মধ্যে ঘাড় গুজে প্যাক প্যাক করে যে আদর খেতো।

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!