বঙ্গবন্ধু: জাতির পিতা
বলতে পারো কোন সে মানুষ
শোষিতদের মিতা
তিনিই হলেন বঙ্গবন্ধু
তিনিই জাতির পিতা।
বাংলাদেশের নামের পাশে
মুজিব অলংকার,
তিনিই হলেন এই বাঙালির
শ্রেষ্ঠ অহংকার।
চিঠি ১
শেখ মুজিবের নামে
লাল সবুজের খামে
কে লিখেছে চিঠি?
চিঠির ভেতর নীল জোনাকি হাসছে মিটিমিটি।
সোনালি অক্ষরে
মুক্তো ঝরে পড়ে
ঠিকরে পড়ে আলো-
আমার মুজিব লক্ষ্মী মুজিব, আমার মুজিব ভালো।
শেখ মুজিবকে লিখলো চিঠি যোদ্ধা ছেলের মা-
মুজিব নামের মানিকটাকে ভুলে যাব না।
তাঁর কী অবদান?
এই দেশ এই পতাকা আর এই আমাদের গান...
চিঠি ২
শেখ মুজিবের নামে
একটি চিঠি পাঠিয়ে দিলাম
সবুজ রঙের খামে
লাল কালিতে কী লিখেছি
স্পষ্ট মনে আছে-
‘তুমি আছো বুকের পাশে
ঠিক হৃদয়ের কাছে।
চাঁদ উঠবে ফুল ফুটবে
গাইবে পাখি গান-
সকল কিছুর মধ্যিখানে
তোমারই জায়গান।’
ইতিহাসে
ফরিদপুরের অখ্যাত এক
টুঙ্গীপাড়া গ্রাম
ইতিহাসে টুঙ্গীপাড়ার
নাম লিখে রাখলাম।
এই গ্রামেরই সোনার ছেলে
নামটা মুজিবুর
যাঁর কণ্ঠে উচ্চকিত
শেকল ভাঙার সুর।
শেখ মুজিবের জন্ম যদি
না দিত এই মাটি-
আসত না ভাই স্বাধীনতা
স্নিগ্ধ পরিপাটি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে
অনন্য সেই নাম
ইতিহাসে শেখ মুজিবের
নাম লিখে রাখলাম।
জয় বাংলা জয় মুজিবর
মুজিবর আছে বাংলার ঘরে ঘরে
বাঙালির অন্তরে।
মুজিবর আছে সকালের সোনারোদে
যাবতীয় শুভবোধে।
মুজিবর আছে দীপশিখা হয়ে কোজাগরী সন্ধ্যায়
বাঙালির চেতনায়।
মুজিবের কথা মুজিবের নাম সিম্ফনি হয়ে বাজে
হৃদয়ের এস্রাজে।
রাতের আকাশে তারকাপুঞ্জে মুজিবর ধ্রুবতারা
মুজিব শ্রাবণধারা।
মুজিবর আছে বিশ্বাসে আর নিঃশ্বাসে পলে পলে
মানুষের কোলাহলে।
মুজিবর আছে বাংলার সাথে মিশে
সোনালি ধানের শিষে।
মুজিবর আছে পাল-তোলা নৌকায়
হৃদয়ের আঙিনায়।
চোখের মণিতে ধমনিতে আর শোনিত প্রবহমান
জয় বাংলা বাংলার জয় মুজিবুর রহমান...