যা যা লাগবে—
১। দুইটি বেলুন
২। কিছু বোর্ড পিন
৩। একটা ইটের থান বা অন্য ওজনদার কিছু।
যেভাবে করব—
এই পরীক্ষাটা আমরা দুইটা ধাপে করব।
প্রথম ধাপ
১। একটি বেলুন নিব, সেটা ফুলাব এবং এর নিচে একটা বোর্ড পিন রাখব।
২। এরপর বেলুনটি বোর্ড পিনের উপর চেপে ধরব।
৩। বেলুনটি ফুটুস করে ফেটে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ
১। আবার একটি বেলুন নিব, সেটা ফুলাব।
২। নিচে অনেকগুলো বোর্ডপিন সাজিয়ে বিছানার মতো করে বিছিয়ে দিব।
৩। আবার বেলুনটিকে বোর্ডপিনের উপরে চেপে ধরব।
৪। এইবার হবে মজা, বেলুন আর ফুটবে না। এমনকি উপরে ইটের থান চেপে ধরলেও না।
ভাবছো, এইখানে দশের লাঠি একের বোঝা কোথা থেকে এলো? এইটাই তো ঘটনা! আমরা যেসব বেলুন ফুলাই সেগুলো রাবারে বানানো হয়, স্থিতিস্থাপকতার জন্য সহজেই তা ফুলে উঠে। কিন্তু বস্তুর স্থিতিস্থাপকতারও একটা সীমা আছে। বেলুন যখন ফুলে যায় তখন সেটা প্রায় সীমায় পৌছে যায়। এর উপরে যখন একটা পিন দিয়ে বল দেওয়া হয় তখন সেই সীমা অতিক্রম করে এবং বেলুনটা ফুটে যায়।
দ্বিতীয়ক্ষেত্রে যখন আবার বেলুনকে অনেকগুলো বোর্ডপিনের উপর বসানো হয় তখন এর উপর প্রযুক্ত বল অনেক বেশি হয়। তাই, আরও দ্রুত ফুটে যাওয়ার কথা এটাই ভাবছো তো? কিন্তু এইক্ষেত্রে আসলে বিষয়টা হয় উল্টো। যখন সবাই মিলে পাশাপাশি অনুতে বল দিতে থাকে তখন বল আসলে অনুগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় ফলে অনেকগুলো একসঙ্গে স্থিতিস্থাপকতা ধর্ম প্রদর্শন করে। আর বলটা প্রশমিত হয়ে যায়, ফলে বেলুনটা আর ফুটে না! মজা না?
হলো তো প্রমাণ, একা একা করলে সেটা করতে যত সমস্যা হয় সবাই মিলে করলে সেটাই অনায়াসে করে ফেলা যায়? তাহলেই বুঝতে পারছো বিজ্ঞান সুন্দরভাবে একতার বল প্রমাণ করে দিতে পারে!