আমার মতে, পরীক্ষা বাতিল হওয়াতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতেও এর প্রভাব পড়বে।
Published : 09 Sep 2024, 02:23 PM
আমি এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার মতো আরও কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। ৩০ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে সাতটি বিষয়ের পরীক্ষা যথারীতি সম্পন্ন হয়। কিন্তু এরপর বাধ সাধে কোটা সংস্কার আন্দোলন।
দফায় দফায় স্থগিত করা পরীক্ষা। কিন্তু সবশেষে ২০ অগাস্ট আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি স্থগিত হওয়া ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়।
পরীক্ষা বার বার স্থগিত হওয়ার ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পরীক্ষায় বসার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলে দেখা যেত পরীক্ষা আবার স্থগিত হয়েছে।
কিন্তু পরীক্ষা বাতিল হওয়াতেও শুরু হয় নানা রকম দুশ্চিন্তা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো জানায়নি কীভাবে ফলাফল তৈরি করা হবে। এছাড়া এইচএসসির ফলাফল তৈরিতে যদি এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলকে আদর্শ ধরা হয় তাহলে তা অনেক শিক্ষার্থীর প্রতি অবিচার করা হবে।
কেননা এসএসসিতে কম ভালো ফলাফল করেও এইচএসসিতে ভালো ফলাফলের জন্য অনেক শিক্ষার্থী কঠোর পরিশ্রম করেছে।
আমার মতে, পরীক্ষা বাতিল হওয়াতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতেও এর প্রভাব পড়বে।
আমার নিজের কথাই যদি বলি, আমার ইচ্ছা ছিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ঢাকায় গিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেব।
কিন্তু কবে নাগাদ আমাদের এইচএসসির ফল প্রকাশ হবে সেটি এখনো অনিশ্চিত। এছাড়া আগের বছরগুলোতে দেখেছি এইচএসসির ফল প্রকাশের পর ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীরা কিছু সময় পায়। কিন্তু এবার সেই সময়টুকু পাওয়া যাবে কিনা এটি নিয়েও কাটছে না দুশ্চিন্তা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুষ্টিয়া।