সারাবিশ্বে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ বায়ুদূষণ।
Published : 20 Jun 2024, 07:55 PM
বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে, লোয়ার-রেসপাইরেটরি-ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণে পাঁচ বছরের কমবয়সী যত শিশুর মৃত্যু হয়, তার ৪০ শতাংশের জন্যই বায়ুদূষণ দায়ী বলে উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ এবং হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট (এইচইআই) যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার ২০২৪’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে বাতাসের মানের উদ্বেগজনক অবস্থা উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে শিশুদের জন্য বাতাসের গুণগত মান উন্নত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে বিভিন্ন রোগে ভুগে ২০২১ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজারের বেশি। আর বিশ্বব্যাপী এই বয়স শ্রেণির ৭ লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয় বায় দূষণের কারণে।
ইউনিসেফের সংবাদ বিজ্ঞট্তিতে বলা হয়, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা বায়ুদূষণজনিত রোগের বেশি শিকার হয়। এর প্রভাবে অপরিণত ও কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ, হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগসহ নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়।
সারাবিশ্বে এই বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হল বায়ুদূষণ। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি শিশু মারা যায় অপুষ্টিতে।
বায়ুদূষণের কারণে শিশু মৃত্যু ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট।
তিনি বলেন, “লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নিম্নমানের বাতাসের ক্ষতিকর প্রভাব শিশুদের উপরই বেশি দেখা যায়; তারা হাঁপানি ও নিউমোনিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হয়।
“শুধু শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বাতাসের গুণগত মান উন্নত করতে টেকসই সমাধান বাস্তবায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।”