হোটেল কক্ষে পরিচালকের ডাক; গিয়ে যা করেছিলেন বিদ্যা বালান

বিদ্যা যা করেছিলেন, তাতে সিনেমাটি থেকে তাকে বাদ পড়তে হয়েছিল।

মিটু আন্দোলন শুরুর পর কাজ পেতে অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার একের পর এক ঘটনা বেরিয়ে আসতে থাকে। এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল বিদ্যা বালানকেও।

তবে কীভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, সে কথাই তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

সাক্ষাৎকারে কাস্টিং কাউচ নিয়ে প্রশ্নে বিদ্যা বলেন, তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন এজন্য যে তাকে তেমন বিরূপ অভিজ্ঞতা নিতে হয়নি।

“আমি আসলে কখনোই কাস্টিং কাউচের কাছে যাইনি। আমি খুব, খুবই ভাগ্যবান। কারণ আমি নানা ধরনের ভয়ংকর গল্প অনেক শুনেছি। আমার বাবা-মায়েরও সবচেয়ে বড় ভয় ছিল এটাই। সে কারণেই তারা আমার সিনেমায় নামার বিরোধী ছিল।”

এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার উল্লেখ করে এই বলিউড তারকা বলেন, “তবে আমার সঙ্গে একটা ঘটনা ঘটেছিল। একটা সিনেমায় আমি চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সেসময় একটা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য চেন্নাই যেতে হলে পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে হয়েছিল আমাকে। সেদিন আমরা একটা কফি শপে প্রথমে দেখা করি, তারপর সেই পরিচালক তার হোটেল রুমে যেতে আমাকে পীড়াপীড়ি করতে থাকেন।”

সেদিন বিদ্যা একই ছিলেন পরিচালকের সঙ্গে, সেই পরিস্থিতিতে পরিচালককের সঙ্গে হোটেল কক্ষেও গিয়েছিলেন। তারপর কী হয়েছিল?

বিদ্যা বলেন, “আমি কৌশলী একটি কাজ করি। রুমের দরজা খোলাই রেখেছিলাম, তাতে ওই পরিচালক যা বোঝার বুঝে নেন। এখানে কোনো প্রস্তাব আমাকে দেওয়া হয়নি। তবে এটি একটা ইঙ্গিত ছিল। যা বুঝতে পেরেই নিজেকে রক্ষার প্রবৃত্তি জেগে উঠেছিল।”

তারপর সেই সিনেমা থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন বলে জানান বিদ্যা।

টেলিভিশনে অভিনয়ের পর সাইফ আলী খানের বিপরীতে ‘পরিণীতা’ দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু বিদ্যা বালানের। এরপর একের পর এক সিনেমা দিয়ে জয় করেছেন দর্শক ও সমালোচকের মন। বিদ্যার সাম্প্রতিক সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘শকুন্তলা দেবী’ ও ‘শেরনি’ দর্শক সমাদর পেয়েছে বেশ। আরও দুটি সিনেমার কাজ চলছে, একটির নাম ‘নিয়ত’ ও অন্যটির লাভারস।