বাবার মন খারাপের কারণ ছিলেন ভারতীয় মডেল-অভিনেত্রী কারিশমা তান্না। মেয়ে হয়ে পৃথিবীতে আসায় জন্মের এক মাস পর্যন্ত তার মুখ দেখতে আাসেননি বাবা।
সম্প্রতি সঞ্চালক সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে কথোপকথনে শৈশবের বেদনাঘন দিনগুলোর কথা কারিশমা স্মরণ করেছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
গুজরাটে জন্ম এই অভিনেত্রীর। পরিবারে দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। তার বাবা ছেলে চাইছিলেন বলে ছোট পরিবারে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও মেয়ে হয়ে জন্মাবার কারণে বাবার বিরাগভাজন ছিলেন তিনি।
কারিশমা বলেন, “মায়ের কাছ থেকে শুনেছি, আমি জন্মাবার পর আমার বাবা মোটেও খুশি ছিলেন না। কারণ তিনি ছেলে চেয়েছিলেন।
“আট-দশটা সাধারণ গুজরাটি পরিবারের মত মায়ের উপরে পারিবারিক চাপ ছিল। তারা ভেবেছিল, ছেলে সন্তান তাদের বংশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, আরও উপার্জন করতে পারে। তাই আমার দাদা-দাদী আমাকে ‘সেকেন্ড-হ্যান্ড’ ট্রিটমেন্ট দিতেন।”
অভিনেত্রী আর জানান, মা জেসমিনা তান্নার কাছেও তাকে জন্মের এক সপ্তাহ পর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর বাবা তাকে দেখতে হাসপাতালেও যাননি।
“এমন নয় যে বাবা আমাকে ভালোবাসতেন না। দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হওয়ায় পারিবারিক চাপের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি, যা তাকেও ভিতর থেকে ভাঙছিল।”
অভিনেত্রীর মতে, তার বাবা মেয়ে সন্তান পছন্দ করা পরও তা পরিবারকে বলতে পারছিলেন না। তাই একসময় বাবাকে আশ্বস্ত করতে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “তুমি ছেলের কাছ থেকে যা প্রত্যাশা কর, আমি তাই করবো। আমি তোমার ছেলে হব। এবং আমি সেটাই করছি।”
ভারতীয় টেলিভিশন জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ কারিশমা ২০০১ সালে অভিনয়ে আসেন। এছাড়াও রিয়ালিটি শো ‘খাতরো কে খিলারি’র দশম সিজনে বিজয়ী ছিলেন তিনি। কারিশমা গেল বছর জাঁকজমক আয়োজনের সাথে প্রেমিক বরুণ বাঙ্গারার সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন।
শেষ অভিনেত্রী ওয়েব সিরিজ ‘হুশ হুশ’-এ দেখা গিয়েছিল। সিরিজটিতে আরও অভিনয় করেছিলেন জুহি চাওলা ও সোহা আলি খান।