প্রতিবছর ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন করা হয়।
Published : 27 Mar 2024, 08:41 PM
এ বছর বিশ্ব নাট্য দিবস সম্মাননা পেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে।
সম্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে আতাউর রহমান বলেন, “নিজ গৃহে সম্মাননা পাওয়া অনেক বেশি আনন্দের। নাটকের মানুষজন আমার পরিবার। তাদের কাছ থেকে এই সম্মাননা পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে।”
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যৌথভাবে বিশ্ব নাট্য দিবস পালন করেছে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ কেন্দ্র, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
এ বছর বিশ্ব নাট্য দিবসের আন্তর্জাতিক বাণী দিয়েছেন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী নরওয়ের লেখক, অনুবাদক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে।
এটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনান সঙ্গীতা চৌধুরী।
জাতীয় বাণী দিয়েছেন দিনাজপুর নাট্য সমিতির অধ্যক্ষ এবং বহুরুপি নাট্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দীন। অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় তার হয়ে এটি পাঠ করে শোনান তার মেয়ে কাজী বন্যা।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আতাউর রহমানের জীবনী পাঠ করেন নাহিদ স্মৃতি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান। অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম, শিশু একাডেমির সভাপতি লাকী ইনাম এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
১৯৬১ সালের জুন মাসে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) নবম কংগ্রেসে বিশ্ব থিয়েটার দিবস প্রবর্তনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
পরের বছর প্যারিসে থিয়েটার অব নেশনস উৎসবের সূচনার দিনটি, অর্থাৎ প্রতিবছর ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও নাট্যকর্মীরা দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করে আসছেন।
বিশ্বের সব দেশের নাট্যকর্মীর মধ্যে ঐক্য স্থাপন, সম্প্রীতি, উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে নাটকের উন্নয়ন মূলত এ দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্য।