আশীর্বাদ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলো। ঠিক কী কী ঘটেছিল সিনেমাটা করতে গিয়ে?
আশীর্বাদ সিনেমার শুটিং সেট থেকেই অনেক ঘটনা ঘটেছে। কী কী ঘটেছে, তা এর আগে বলেছি। দেশের মানুষ সবই জানেন। নতুন করে আর বলতে চাই না। যা ঘটে গেছে তা নিয়ে কিছু বলার নাই। এখন ছবিটা মুক্তি নিয়ে কী করতে পারি তাই ভাবছি।
মামলার কথা উঠেছিল। সেসব নিয়ে তাহলে ভাবছেন না। কী ভাবছেন তাহলে?
ছবি মুক্তি নিয়ে ভাবছি। বুধবার থেকে পোস্টারিং শুরু হয়েছে। হল মালিকদের সঙ্গে কথা বলছি।
সিনেমার নেগেটিভ প্রচার কি হল পাওয়া না পাওয়ায় ভূমিকা রাখছে?
অবশ্যই ভূমিকা রাখছে। দুই মাস আগেও যে সব হল মালিক আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, টিজার দেখে ছবিটা তাদের হলে চালাতে চাইছিলেন, এখন বেশিরভাগই সরে যাচ্ছেন।
একবার শোনা গেল ১৯ অগাস্ট মুক্তি পাচ্ছে আশীর্বাদ। ২৬ তারিখে যাওয়ার কারণ কী?
হল মালিকরা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘এখন পরাণ আর হাওয়া সিনেমা দুটি ভালো চলছে। এই সময়ে নতুন ছবি মুক্তি না দেওয়াটাই ভালো হবে। তাহলে পরাণ, হাওয়া দেখার পর দর্শক যেন আমাদের সিনেমাটা দেখতে পারে।’ তাদের কথামতোই পেছানো।
হল মালিকদের কথায় মুক্তি পেছানোর পরেও বলছেন অনেকে সিনেমাটা চালাতে চাইছেন না?
খুবই দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি। কয়েকজনের অপপ্রচারের কারণে হলমালিকরা আশীর্বাদ থেকে সরে গেছে। এখন আমাদের হল ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে।
তাহলে মুক্তি দেবেন কীভাবে?
টিজার দেখার পর বেশ কয়েকজন হল মালিক ছবিটা নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাদের দিকে তাকিয়েই মুক্তি দিচ্ছি। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
আশীর্বাদে দর্শকের জন্য কী আছে?
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ছবি বলতে কমন একটা স্ট্র্যাকচার বুঝি। নির্দিষ্ট ছকে আটকে আছে মুক্তিযুদ্ধের ছবি। আশীর্বাদ সেই জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা সিনেমা। এখানে মুক্তিযুদ্ধকে আরও বড় পরিসরে ভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় সিনেমাটা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জনমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দিক থেকে একটি আশীর্বাদ বলা যায়।
আপনি তো উপস্থাপক। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সম্ভাবনা আছে?
প্রশ্নই ওঠে না। যখন সময় ছিল, অনেকেই ডেকেছেন, তখন ছবি করিনি। আমার নায়িকা হওয়ার মতো মন-মানসিকতা কখনোই ছিল না। নায়িকা বানানোর মন-মানসিকতা ছিল।
আশীর্বাদ প্রযোজনা করতে এসে যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেলেন, এরপরেও কি প্রযোজনা করবেন?
আমার জন্য খুবই আনন্দের ঘটনা যে, আমার প্রথম ছবিটাই সরকারি অনুদান পেয়েছে। আগামীতে আমি আরও ছবি প্রযোজনা করব। বাধা-বিপত্তি আসবেই। আমি তেমন নই যে বাধা-বিপত্তি দেখে প্রযোজনা ছেড়ে দেব। ইনশাআল্লাহ এই ছবিটা শেষ হলে আরেকটা ছবি প্রযোজনা করব। সেটা অনুদান না পেলে নিজের টাকা দিয়েই প্রযোজনা করব।
আপনার আগামী সিনেমায় আশীর্বাদের নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে কাজ করবেন?
প্রশ্নটা শুনে খুবই হাসি পেল। উত্তর দিতে চাইছি না। ধন্যবাদ।