কলকাতা ও বাংলাদেশের প্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ সেই আলাপের সমাধান করে দিলেন নিজেই।
গ্লিটজের আমন্ত্রণে জানালেন তার নতুন প্লাটফর্মে তথা অনলাইনে যাত্রার গল্প থেকে শুরু করে কাকাবাবু হয়ে মিসির আলী নিয়ে একটু চাওয়া পাওয়ার গল্প!
সীমানার ওপাড়ে বসে তাই গল্পটা শুরু হয় ‘নিরন্তর’ সিনেমাটি দিয়ে। এটি মুক্তি পেয়েছে জিফাইভে জুন মাসের আটাশ তারিখে।
ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী নজর কেড়েছে সিনেমাটি। তবুও বড় পর্দার ছবি যখন ঘরে অন্তর্জালে দেখা যায়, সে বিষয়টি একজন বড় পর্দার শিল্পীর জন্য কেমন?
উত্তরে বুম্বা-দা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বললেন, “নতুন প্লাটফর্ম মানে নতুন সম্ভাবনা। ছোট পর্দায় যে এক্সপেরিমেন্ট করা যায় - সেটা বড় পর্দায় করতে গেলে হয়ত অনেক কিছু ভাবতেও হয়। কিন্তু অনলাইন প্লাটফর্ম সেই ভাবনাটাকে একটু হলেও কমিয়েছে।”
প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানালেন এই ছবির পরিচালক চন্দ্রাশিস রায়ের এটা প্রথম ছবি। প্রযোজক অভিনেতা নিজেই। কিন্তু তার পরেও এটি একটি অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
তার চেয়েও বড় কথা হল- ‘নিরন্তর’ এই অভিনেতার ডেব্যু তথা প্রথম কাজ অনলাইনের জন্য।
নাচে-গানে ভরপুর সিনেমা থেকে কাকাবাবু হয়ে নেতাজির চরিত্রেও দেখা গেছে তাকে। গেল বছরের সিনেমা ‘গুমনামি’ তাকে দিয়েছে আরেকটি ঐতিহাসিক চরিত্রে তাক লাগিয়ে দেওয়ার অর্জন।
তিনদশকের নিজেকে ভেঙে গড়ার রীতিকে স্বাভাবিক বললেন এই অভিনেতা। বিষয়টি অনেকখানি পরিচালকের ওপরেও নির্ভর করে বলে মনে করেন তিনি।
বলেন, “এর আগে কেউ ভেবেছিল আমাকে লালন হিসেবে?”
এরপর হেসে জানালেন, তিনি চেষ্টা করেছেন নিজেকে নতুন করে আনতে। কারণ এখন একটু ‘এক্সপেরিমেন্টাল’ কাজই তার পছন্দ।
তিনি মনে করেন, জীবনের এক একটা ধাপে এক একটা কাজের ধারা গ্রহণযোগ্যতা পায়।
সেই নিয়মেই তার কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে অন্যরকম কাজ। যেটা দর্শক আগ্রহ করে দেখবে।
বুম্বা-দা নিজেই বললেন, “দর্শকও কিন্তু এখন অন্যরকম কাজ দেখতে পছন্দ করেন।”
আবার এটাও বললেন, এককালে যেমন সাহিত্য নিয়ে বেশ কাজ হত- সেই ধারাটাও ফিরে আসছে। সেটা কেবল যে তিনি কাকাবাবু করেন বলেই হল তা নয়।
সাহিত্যের চরিত্র নিয়ে কথা হবে, ফেলুদা বা ব্যোমকেশ নিয়ে আলাপ জমবে না- সেটা হতেই পারে না।
প্রসেনজিতও নিজের জায়গা থেকে জানালেন, বাংলা ভাষার যে দাপট তার কারণ সাহিত্য অবশ্যই। তাই গল্পের প্রয়োজনে হোক কিম্বা মনের খোড়াক মেটানোর চাহিদাতেই হোক- সাহিত্য ও তার ওপর নির্ভরতা ঘুরে ফিরে বাড়বেই এবং থাকবেই।
সৃজিতের হাত ধরে কাকাবাবু হয়ে ওঠা প্রসেনজিৎ বেশ তৃপ্তি নিয়েই বললেন, “এখনকার অনেক শিশুর কাছে তিনিই কাকাবাবু- আর এটা ভীষণ আনন্দের।”
তার পরে কে হতে পারে কাকা বাবু? এর প্রশ্নের উত্তরের দায়টা ফের ছেড়ে দিলেন নির্মাতার ওপরে। কিন্তু পরম স্নেহে নাম নিলেন পরমব্রত বা যীশুর।
আবার বাংলাদেশের শিল্পীদের নাম নিতেও ভুললেন না।
বরাবরের মতো তিনি বললেন, “দুই বাংলাকে কখনই আমি আলাদা করি না।”
আলাপে স্বাভাবিকভাবেই চলে এল জয়া আহসানের কথা।
মহামারীর গল্প নিয়ে আসলেই নতুন সিনেমায় তাকে দেখা যাবে কিনা- এই প্রসঙ্গে বললেন- “কিছুই এখনও সীদ্ধান্তে আসেনি। হয়ত লকডাউনের কারণে বিলম্ব হচ্ছে।”
আর শিল্পী হিসেবে জয়াও তার পছন্দ। সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত হলে দারুণ হবে- বলে ছোট্ট করে জানালেন।
গ্লিটজের সঙ্গে আড্ডায় আরও উঠে এল রুপালি পর্দার অদমিত আবেদন থেকে শুরু করে তার নাম কেন বুম্বা সেটাও!
তবে তা জানতে দেখুন সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার - এই লিংকে-