শিল্পকলায় ওয়ানগালা নৃত্য কর্মশালার সমাপনী

গারোদের সর্ববৃহৎ উৎসব ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2023, 05:39 PM
Updated : 23 March 2023, 05:39 PM

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চার দিনব্যাপী ‘ওয়ানগালা নৃত্য কর্মশালা’। বৃহস্পতিবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ কর্মশালা সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এর আগে ১৯ মার্চ এ কর্মশালা শুরু হয়েছিল।

গারোদের সর্ববৃহৎ উৎসব ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব। ওয়ানগালা মানে হলো সৃষ্টিকর্তার নামে জুম থেকে উৎপাদিত প্রথম ফসল উৎসর্গ করা। এই ওয়ানগালা উৎসবের মাধ্যমে মুলত গারোরা তাদের প্রধান দেবতা তাতারা-রাবুগা-নস্তু-নপান্তু-মিমি-সালজং এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। প্রকৃতি পূজারি গারোরা বিশ্বাস করে, এই দেবতাই সময়মতো রোদ বৃষ্টি, ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ করে প্রকৃতিকে সমৃদ্ধ রাখেন। এই উৎসব তাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার উৎসব হিসেবেও পরিচিত।

শিল্পকলা একাডেমি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “এই ওয়ানগালা উৎসবেই গারোরা সর্বাধিক বিভিন্ন ধরনের নৃত্য পরিবেশন করে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই বর্ণিল নৃত্য ছন্দে ওয়ানগালা উৎসব পালিত হয়ে আসছে।”

কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে গারো সম্প্রদায়ের চারুশিল্পীদের ৫০টি চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শিত হয় একটি ভিডিও তথ্যচিত্র। পরে গারো সম্প্রদায়ের দেশাত্ববোধক গান পরিবেশিত হয় এবং ‘এসো সবাই, নারী পুরুষ নির্বিশেষে যত ভেদাভেদ আর গ্লানি ভুলে আমরা এক হই’, মান্দি ভাষার এই গানের সাথে পরিবেশিত হয় নৃত্য।

এছাড়া গারো নৃত্যগুরু মালা মার্থা আরেং এবং প্রভাতী রাংসা নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে কর্মশালা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন গারো নৃত্যগুরু মালা মার্থা আরেং,বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) খন্দকার রেজাউল হাশেম। পরে অংশগ্রহণকারীদের উপহার ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

সবশেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ৫০ শিক্ষার্থীর পরিবেশনায় উপস্থাপন করা হয় ১৬ মিনিট ব্যাপ্তির বর্ণিল ওয়ানগালা নৃত্য।