মিষ্টির গন্ধে মৌ মৌ শিল্পকলা

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ মেলা চলবে পাঁচ দিন, যা শেষ হবে ১০ মার্চ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2024, 02:51 PM
Updated : 6 March 2024, 02:51 PM

বাহারি মিষ্টির রূপ-রস আর স্বাদ-গন্ধে ভাসতে শুরু করেছে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণ।

দেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নিয়ে বুধবার শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় মিষ্টি মেলা ২০২৪’।

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ মেলা চলবে পাঁচ দিন, যা শেষ হবে ১০ মার্চ।

প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এ মেলায় মিষ্টির স্বাদ নেওয়ার সুযোগের পাশাপাশি প্রতিদিন বিকাল ৫টায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

খাদ্য সংস্কৃতি হিসেবে দেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলোকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এ আয়োজন।

একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, মেলায় অংশ নিয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত ৬৪ এর বেশি মিষ্টির কারিগর।

বুধবার মিষ্টি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ। সভাপতি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

শিল্পকলা একাডেমি জানায়, শুধু প্রদর্শনীর জন্য নয়, কেউ চাইলে ৬৪ জেলার বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খেতে পারবে।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো, আমরা গর্ব এবং গৌরবের বিষয়গুলো আবিষ্কার করতে চাই এবং তার প্রচার-প্রসার ঘটাতে চাই। আমরা জানি নেতিবাচক অনেককিছু এ দেশ সম্পর্কে প্রচারিত হয়, এজন্য আমরা প্রতি বছরই একটি কর্মসূচি পালন করি। পঞ্চগড় থেকে শুরু করে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রত্যেকটি শহরের নিজস্ব ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস ঐতিহ্যের ইতিবাচকতা তুলে ধরতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “এই মিষ্টি মেলার মাধ‌্যমে যে শিল্পীরা মিষ্টি তৈরি করেন তাদেরকে চিহ্নিত করা ও শ্রদ্ধা জানানো অন্যতম কাজ বলে আমরা মনে করি। আমাদের অনেক মিষ্টির জিআই হয়েছে। আরও যেসব মিষ্টর জিআই হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমরা কাজ করব। আশা করব, মেলাটি সাফল্যমণ্ডিত হবে এবং প্রতিবছরই আমরা এ মেলার আয়োজন করব।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় সমবেত সংগীত ‘আমরা নতুন যৌবনের দূত’ এবং ‘আমরা সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’। পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু সংগীতদল।

এছাড়া ছিল শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষিত অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনা ব্যারেল ব্যালেন্স, রোলার ব্যালেন্স এবং টপ-টু আমব্রেলা।

বিকেলে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সংগীত পরিবেশন করেন শাহানাজ বেলী, আয়শা জাবীন দিপা, খায়রুল ওয়াসী, ফারহানা পারভীন।

এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করবেন শারমীন জাহান কেয়া, রোকসান আক্তার রুপসা, রাফি তালুকদার, জীবন চৌধুরী, প্রেমা জামান মীম ও বিপাশা পারভীন।