কনসার্টে গান গাইতে গাইতে সময়জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন শিল্পী, সুরকার এ আর রহমান, বুঁদ হয়ে শুনছিলেন ভক্ত শ্রোতারাও। কিন্তু বাধ সাধে পুলিশ। তাদের নির্দেশে বাধ্য হয়ে মঞ্চ ছা্ড়তে হয় ভারতের এই সুরস্রষ্টাকে।
পুণের রাজা বাহাদুর মিল এলাকায় কনসার্ট ছিল এ আর রহমানের। প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে মঞ্চের সামনের খোলা জায়গা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল সোমবার সন্ধ্যায়।
পিংকভিলা জানিয়েছে, কনসার্টের সময় ছিল রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা যে রাত ১০টা পেরিয়ে গেছে তা খেয়াল করেননি শিল্পী। সোয়া ১০টার দিকে ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটি ধরেছিলেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামের ভিডিওতে দেখা যায়, গানটি গাওয়ার সময় মঞ্চে উঠে শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্র বন্ধের নির্দেশ দেন পুণের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
মাঝপথে থামিয়ে দেওয়ায় সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে এবং শিগগিরই দেখা হবে বলে মঞ্চ ছাড়েন এ আর রহমান। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বহু দর্শক।
পুণে পুলিশের ডিসিপি (জোন ২) এস পাতিল বলেন, “এ আর রহমান শেষ গানটি গাইছিলেন। কনসার্টের জন্য নির্ধারিত সময় ১০টা যে পেরিয়ে গেছে সেটি উনি খেয়াল করেননি। বাধ্য হয়ে মঞ্চে উঠে তাকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়।। “
২০০৫ সালের জুলাই মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট থেকে আদেশ আসে, রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জনসমাগমস্থলে ‘মিউজিক সিস্টেম’ ব্যবহার নিষিদ্ধ।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নিন্দার ঝড় তুলেছেন নেট ব্যবহারকারী অনেকে। নন্দিত এই শিল্পীর সঙ্গে কেন আরও একটু সংবেদনশীল আচরণ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য আয়োজকদের উপরে দোষ চাপিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে।