অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের প্রয়াত শিক্ষাগুরু সোহরাব হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
Published : 28 Aug 2022, 02:36 AM
গান ও নাচ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রয়াণ দিবসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করেছে ছায়ানট।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের প্রয়াত শিক্ষাগুরু সোহরাব হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
নজরুলসঙ্গীত চর্চায় নিবেদিত সোহরাব হোসেন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “নজরুল গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন। তার গান অন্যের নামেও চলেছিল। এক সময় নজরুলসঙ্গীতের আদি রূপটি ধরে রাখা কঠিন হয়েছিল। সেসময় শুদ্ধ সুরে নজরুলসঙ্গীত চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছায়ানটের সঙ্গীত শিক্ষক সোহরাব হোসেন।
“শুদ্ধ সুরে নজরুলসঙ্গীত ছাত্রছাত্রীদের শিখিয়ে গেছেন আমৃত্যু। একটা সময় ছিল যখন ছায়ানটের সাথে সম্পর্ক রাখাটি কঠিন হয়েছিল। তখন নজরুল একাডেমি হল। একটা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো, যে ছায়ানটে যদি তিনি গান শেখান- তবে নজরুল একাডেমিতে গান শেখাতে পারবেন না। এটিকে উপেক্ষা করে সোহরাব হোসেন ছায়ানটে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।“
সঙ্গীত গুণি সোহরাবকে তাই নজরুলের প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে জানিয়ে সারোয়ার বলেন, “এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নজরুলকে যেমন শ্রদ্ধা জানাব, তেমনি সোহরাব হোসেনকেও আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।”
পরে একক গান ‘অরুণকান্তি কে গো যোগী ভিখারি” গেয়ে শোনান বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। নৃত্যগীত পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা তাথৈ।
এরপর একক গান পরিবেশনায় অংশ নেন- নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী, রেজাউল করিম, ধ্রুব সরকার, কল্পনা আনাম, কানিজ হুসনা আহ্ম্মাদী সিম্পী, সুমন মজুমদার, ঐশ্বর্য সমদ্দার, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, মনীষ সরকার, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, মোহিত খান, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া ও মাহমুদুল হাসান।
এছাড়া ‘বসন্ত এলো এলো এলো রে’ গানের সাথে সম্মেলক নৃত্যগীত পরিবেশন করে ত্রিতালের শিল্পীরা।
সবশেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এই আয়োজনে যন্ত্রানুষঙ্গে তবলায় ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার ও গৌতম সরকার। এস্রাজে ছিলেন অসিত বিশ্বাস, মন্দিরায় ছিলেন প্রদীপ রায় ও কিবোর্ডে ছিলেন রবিন্স চৌধুরী।