পুরুষ ও নারী তারকা হিসেবে গ্র্যামিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে স্বামী জেই-জির সঙ্গে সমতায় বিয়ন্সে।
Published : 16 Nov 2022, 10:22 PM
সংগীত জগতের অন্যতম শীর্ষ পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত গ্র্যামি’র ২০২৩ এর আসরটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত শিল্পী বিয়ন্সের জন্য যেন অনেকটাই ২০১৭ আসরের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। অন্তত মনোনয়ন ঘোষণার পর এমন ধারণাই পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এখানে অ্যাডেলের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি তুলে সিএনএন লিখেছে, আসন্ন গ্র্যামি আসরটি আবারও দুই তারকার দ্বৈরথে পরিণত হতে যাচ্ছে।
অবশ্য এই আসর বিয়ন্সে ও তার স্বামী জেই-জির জন্য আরও স্মরণীয় হতে চলেছে বেশ কিছু রেকর্ড গড়ার মধ্য দিয়ে। নারী ও পুরুষ সঙ্গীত তারকা হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কারের মনোনয়ন সংখ্যার হিসাবে শীর্ষে রয়েছেন তারা দুজন।
সব আসর মিলিয়ে ৮৩টি মনোনয়ন পেয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়ন পাওয়ার রেকর্ড নিজের করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের র্যাপ সঙ্গীত তারকা জেই-জি। নারীদের মধ্যে রেকর্ড ৭৯টি মনোনয়ন পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তার স্ত্রী বিয়ন্সে। তাদের দুইজনের মাঝে আছেন কিংবদন্তি ব্যান্ড বিটলসের স্যার পল ম্যাকার্টনি (৮১টি মনোনয়ন) ও কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক, গীতিকার, শিল্পী কুইন্সি জোন্স (৮০টি মনোনয়ন)।
মঙ্গলবার ২০২৩ সালের গ্র্যামি পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে, রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার ও অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন অ্যাডেলে ও বিয়ন্সে।
এ বছর বিয়ন্সে ৯টি ও ব্রিটিশ সঙ্গীত তারকা অ্যাডেলে ৭টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন।
সিএনএন লিখেছে, অবশ্যই এসব বিভাগে অন্য তারকারাও মনোনয়ন পেয়েছেন তবে অ্যাডেলে ও বিয়ন্সের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি ইতিহাস রয়েছে। ২০১৭ সালের আসরে অ্যাডেলে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ারসহ ৫টি পুরস্কার জিতে নেন। বিয়ন্সে জিতেছিলেন দুটি। এর জেরে ওই বছর বিয়ন্সের কট্টর অনুরাগীরা, যারা বিহাইভ নামে পরিচিত, পুরস্কারের ভোটিংয়ে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগও তুলেছিলেন।
অবশ্য ২০১৭ এর পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে অ্যাডেলে বিয়ন্সের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজেকে তার একজন ভক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন। জানান, তিনি নিজেই বিয়ন্সেকে ভোট দিয়েছিলেন। সেবারের আসরে দেখা গিয়েছিল, তার ওই বক্তব্য শুনে আবেগ সমলাতে পারেননি বিয়ন্সে।
এবারের আসরে দুই তারকাই তাদের গানে মঞ্চ মাতাবেন।
বিয়ন্সে তার ‘রেনেসাঁ’ অ্যালবামের জন্য রেকর্ড অব দ্য ইয়ার এবং ‘ব্রেক মাই সোল’ গান দিয়ে সং অব দ্য ইয়ার-এর মনোনয়ন পেয়েছেন। তার এই অ্যালবামে সহযোগিতা করায় স্বামী জেই-জিরও মনোনয়ন সংখ্যা বেড়ে গেছে।
‘ব্রেক মাই সোল’ গানের যৌথ গীতিকার হিসেবে সং অব দ্য ইয়ারের মনোনয়ন পেয়েছেন জেই-জি। আবার ডিজে খালেদের একক সঙ্গীত ‘গড ডিড’ গাসের গীতিকার হিসেবেও এই বিভাগে আরেকটি মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ একই বিভাগে তিনি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী।
এদিকে স্ত্রী বিয়ন্সের জন্য ২০২৩ গ্রামি স্মরণীয় হতে চলেছে রেকর্ডের বিচারে। এ নিয়ে আটবার রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পেলেন বিয়ন্সে, এর মধ্যদিয়ে কিংবদন্তি সংগীত তারকা ফ্র্যাংক সিনাত্রাকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। জীবদ্দশায় সিনাত্রা সাতবার মনোনয়ন জিতেছিলেন এই বিভাগে।
‘ব্রেক মাই সোল’ ও ‘রেনেসাঁ’ দিয়ে এবার কয়েকটি বিভাগে প্রথমবার মনোনয়ন পাওয়ার সৌভাগ্যও হয়েছে বিয়ন্সের যার মধ্যে আছে সেরা ড্যান্স/ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং বিভাগ ও সেরা ড্যান্স/ইলেকট্রনিক মিউজিক অ্যালবাম বিভাগে মনোনয়ন।
এ পর্যন্ত ২৮টি গ্র্যামি জয়ী বিয়ন্সে এই পুরস্কারের আসরে নারী সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার জয়ের রেকর্ডধারী। ২০২৩ এর আসরের জন্য ৯টি মনোনয়নের মধ্যে তিনি যদি আর মাত্র ৪টি পুরস্কার অর্জন করতে পারেন তাহলে কিংবন্তী কনডাক্টর স্যার জর্জ সোলতির রেকর্ড ভেঙে দেবেন, যিনি ৩১টি গ্র্যামি জিতেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত জগতের শীর্ষ পুরস্কার গ্র্যামি। গ্র্যামোফোন অ্যাওয়ার্ড নামে এই পুরস্কারের প্রবর্তন হলেও এখন তা গ্র্যামি নামেই পরিচিতি পেয়েছে। বছরের সেরা তিন অ্যাওয়ার্ডের একটি হচ্ছে গ্র্যামি। অন্য দুটি হচ্ছে বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ও অ্যামেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস।
প্রথমবার বাংলাদেশকে গ্র্যামিতে নিলেন মা নাশিদ কামাল ও মেয়ে আরমিন মুসা