‘সাথী তুমি আমার জীবনে’ এবার পড়শীর কণ্ঠে

সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্রের ‘সাথী তুমি আমার জীবনে’ গানটি এবার কণ্ঠে তুলেছেন নতুন প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী সাবরিনা এহসান পড়শী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2021, 10:08 AM
Updated : 6 Sept 2021, 10:08 AM

সালমান শাহর ২৫তম প্রয়াণ দিবসে তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পড়শী।

‘সাথী তুমি আমার জীবনে’ গানটি ১৯৯৬ সালে সালমান শাহ অভিনীত ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ চলচিত্রের গান। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গীত পরিচালনায় এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন খলিদ হাসান মিলু ও কনকচাঁপা।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় মারা যান। রহস্যজনক ওই মৃত্যুর কারণে গানটির শুটিং থেকে যায় অসম্পূর্ণ।

নতুন করে অনুপম মিউজিকের ব্যানারে মিউজিক ভিডিও আকারে ফিরে আসা গানটি নির্মাণে সহযোগিতা করেছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের ম্যাংগো ড্রিংকের ব্র্যান্ড প্রাণ ফ্রুটো। অনুপম মিউজিকের ব্যানারে মুক্তি পাওয়া গানটি প্রাণ ফ্রুটোর ফেইসবুক পাতায়ও থাকছে।

সোমবার রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গানটি মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা, প্রাণ ফ্রুটোর নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমান, হেড অব মার্কেটিং তন্ময় দাস, অনুপম মিউজিকের স্বত্ত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন, শিল্পী পড়শী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

গানটি প্রসঙ্গে পড়শী বলেন, “সঙ্গীতসহ সব অঙ্গনেই কিছুদিন পর পর ট্রেন্ড চেঞ্জ হচ্ছে। সালমান শাহের মতো বাংলা চলচ্চিত্রের সম্পদকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ধরে রাখার জন্য এটা ছিল সবচেয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ। প্রাণ গ্রুপ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে এগিয়ে এসেছে।”

সালমানকে স্মরণের জন্য এই গানটি বেছে নেওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, “তার চলে যাওয়ার সঙ্গে এই গানের একটা স্মৃতি বা সম্পর্ক রয়েছে। মূল সিনেমায় এই গানটার শুটিং অসম্পূর্ণ রেখেই সালমান শাহ পরপারে পাড়ি জমান। সে কারণেই গানটা সিলেক্ট করা। আপনারা হয়তো দেখবেন গানের দেড় মিনিট পর সালমান শাহকে আর কিন্তু দেখা যায় না।

“মানুষ শুধু যে গানটা শুনবে তাই, গানটার পেছনের কারণ যখন শ্রোতারা শুনতে যাবেন- কেন আমি গানটা গাইলাম, তখন কিন্তু সালমান শাহের স্মৃতি সবার সামনে ভেসে উঠবে। সে কারণেই গানটা বেছে নেওয়া হয়েছে।”

নিজেকে সালমান ভক্ত পরিচয় দিয়ে পড়শী বলেন, “স্কুলে পড়ার সময় সালমান শাহের দুএকটি সিনেমা আমার দেখার সুযোগ হয়েছিল। তখন থেকেই আমি সালমানকে নিয়ে ভাবতে শুরু করি। এরকম একটা ব্যাপার ছোট বেলা আমার মধ্যে চলে আসে। তারপরে জানতে পারলাম সালমান শাহ নেই।

“সেই থেকে আক্ষেপটা আমার মাঝে রয়েছে গেছে। না দেখার সেই আক্ষেপের কারণে অনেক বেশি কষ্ট হয়। আমি এতটাই আনলাকি যে উনার মতো একজন মানুষকে আমি সামনা সামনি দেখতে পাইনি। সালমান শাহ যে ভালোবাসার একটা জায়গা করে রেখেছে সেটা অবশ্যই থাকবে, সব সময় থাকবে।

“গানের ভয়েস দেওয়ার সময় আবেগ কাজ করেছে। আগে যখন টিভি লাইভে গানটি করেছিলাম তখনও কেঁদেছি। গানটা দেখলেই খারাপ লাগে। পর্দায় উনাকে দেখলে আমি অনেক বেশি ইমোশনাল হয়ে যাই। উনার পুরোনো কিছু নাটকও আছে। সেই নাটকগুলো যখন আমি দেখি-পর্দায় উনি হাসেন, আর এদিকে আমি কাঁদি।“

প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, মৃত্যুর ২৫ বছর পরেও এখনও অসংখ্য মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী নায়ক সালমান শাহ। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে নতুন কিছু করতে পারাটা দারুণ একটা সুযোগ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে নায়ক সালমান শাহকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণ ফ্রুটো।

আনিসুর রহমান বলেন, ফ্রুট ড্রিংকের বাজারে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হচ্ছে প্রাণ ফ্রুটো। আমরা সব সময় তরুণ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আসছি। আশা করছি, নতুন করে গাওয়া গানটি সবার ভালো লাগবে।