‘ভিলেন’ কেনো জনপ্রিয় হয়? সেটার সঠিক কোনো ব্যাখ্যা নেই। তারপরও ‘জোকার’ ছবি অস্কারের জন্য মনোনিত হয়। খল চরিত্রের প্রতি মানুষের আবেগের জোয়ার ওঠে। ‘হার্লি কুইন’ সেরকমই এক চরিত্র।
ডিসি কমিকসের এই খলনায়িকা’কে নিয়ে ওয়ার্নার ব্রস প্রোডাকশনের নতুন ছবি ‘বার্ডস অফ প্রে (অ্যান্ড দ্য ফ্যান্টাবুলাস ইমানসিপেইশন অফ ওয়ান হার্লি কুইন)’; সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে ‘হার্লি কুইন’ চরিত্র জনপ্রিয়তা পাওয়ার একমাত্র কারণ বলা যেতে পারে মার্গো রবি। ২০১৬ সালের ‘সুইসাইড স্কোয়াড’ ছবিতে এই অভিনেত্রীর অভিনয় হৃদয় কেড়েছে অনেক দর্শকদের, বিশেষ করে ডিসি কমিকস ভক্তদের।
সেই ধারাবাহিকতাতেই হয়ত মার্গোর নতুন ছবির আগমন, যেটাতে তিনি শুধু ‘হার্লি কুইন’ চরিত্রে অভিনয়েই করেননি, প্রযোজকদের মধ্যেও একজন।
আর এই ছবিতে মার্গো মানে ‘হার্লি কুইন’ একা নয় তার পুরো দলই নারীদের নিয়ে। যারা অভিযানে নামেন ‘ব্ল্যাক মাস্ক’ নামের এক ভিলেনকে পরাস্ত করতে।
‘ভিলেন’ দিয়ে ‘ভিলেন’কে পরাস্ত করার এই রসায়ন হলিউডে মনে হয় ডিসি কমিকসই শুরু করেছে। ‘সুইসাইড স্কোয়াড’য়ের পরের ছবি হিসেবে দেখা হলেও ‘বার্ডস অফ প্রে’ ছবির কাহিনি শুরুই হয়েছে ‘জোকার’য়ের সঙ্গে ‘হার্লি কুইন’য়ের বিচ্ছেদ কীভাবে হলো সেটা দিয়ে।
হার্লি কুইন ছিলেন মনোবিজ্ঞানি। আর জোকার ছিলেন তার রোগী। ঘটনাক্রমে রোগীর প্রেমে পড়েন ডাক্তার। তারপর ‘ব্রেইকআপ’ আর সেখান থেকে ‘হার্লি কুইন’য়ের জন্ম।
‘বার্ডস অফ প্রে’ ছবির পরিচালক ক্যাথি ইয়ান, যে কিনা প্রথম এশিয়ান আমেরিকান হিসেবে কোনো ‘সুপারহিরো’ ছবি পরিচালনা করলেন।
ছবির গল্প যাই হোক ‘হার্লি কুইন’ চরিত্রে রূপ দেওয়া নারী মার্গো’কে নিয়েই আগ্রহ বেশি। সে কারণে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম ঘাটাঘাটি চলছে না।
আর সেটা শুরু হয়েছে ‘স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডস ২০২০’য়ের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে। সেখানে মার্গোর একক উপস্থিতি আর হাতে কোনো আংটি ছিল না বলে অনেকেই মনে করছেন তার বিবাহিত জীবন হয়ত শেষ হতে চলেছে।
২০১৪ সাল থেকে সম্পর্ক হওয়ার পর ২০১৮’র ডিসেম্বরে ব্রিটিশ অভিনেতা প্রযোজক টম অ্যাকার্লি’কে বিয়ে করেন মার্গো। তারপর থেকে কোনো অনুষ্ঠানেই তাদের দুজনকে আলাদা দেখা যায়নি খুব একটা।
ম্যাগাজিন ‘লাইফ অ্যান্ড স্টাইল’য়ের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম ‘নিউ আইডিয়া’ জানায়, টম নাকি সব সময় মার্গোকে বিয়ের আংটি পরে থাকার জন্য জোর করতো। যাতে হলিউডের পুরুষরা তার থেকে দূরে থাকে।
তবে মার্গো সবসমই বলে এসেছেন “বিবাহিত জীবনটা খুবই মজার।”
‘পোর্টার’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী বলেন, “কারও স্ত্রী হওয়া মানে দায়িত্ব নেওয়া। আর আমি সেটা সুন্দরভাবে পালন করতে চাই।”
আর এই অভিনেত্রী তার জীবনের ‘সবচেয়ে অদ্ভূত শারীরিক মিলন’য়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ‘দি সান’ ম্যাগাজিনকে বলেন, “সেটা ছিল থেমে থাকা ‘জেট-স্কি’র ওপর; যা পানিতে ভাসছিল।”
তবে ‘সেই’ মিলন স্বামী নাকি অন্য কারও সঙ্গে ছিল সেটা অবশ্য তিনি বলেননি।
এদিকে মার্গোর বিভিন্ন শুটিং সেটে সম্প্রতি হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে দেখা যাচ্ছে। না কোনো অভিনয়ের কাজের জন্য নয়, মার্গোকে সঙ্গ দিতেই পিট ঘুরঘুর করছেন।
‘লাইফ অ্যান্ড স্টাইল’ জানায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যখন ব্র্যাড পিটের মুখে অন্ধকার নামাতো মার্গো নাকি তখন সেখানে আলো ফোটাতেন। তবে সেটা হয়ত একান্তই বন্ধুত্বের খাতিরে।
কারণ যু্ক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিনোদন সংবাদ মাধ্যম পারিবারিক সূত্র থেকে জানাচ্ছে মার্গো এবং টম সুখেই বিবাহিত জীবন পার করছেন। আর আঙ্গুলে বিয়ের আংটি না থাকাটা কোনো ভাঙনেরই ইঙ্গিত করছেনা।