‘মুক্তিযুদ্ধের নানা সূক্ষ্ম দিক নিয়ে ছবি করা জরুরি’

ইতিহাসের প্রামাণ্যদলিল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে কতটুকু ধারণ করতে পেরেছে আমাদের চলচ্চিত্র তা জানতেই গ্লিটজের মুখোমুখি স্বনামধন্য নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল।

রুদ্র হকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2017, 02:31 PM
Updated : 16 Dec 2017, 04:08 PM

গ্লিটজ: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অনেকেই ‘জনযুদ্ধ’ হিসেবে দেখেন। সেভাবে দেখলে জনযুদ্ধের ভাবনা থেকে আজ পর্যন্ত কোনো চলচ্চিত্র কি নির্মিত হয়েছে?

তানভীর মোকাম্মেল: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আসলেই ছিল এক জনযুদ্ধ। সব ধরণের জনগণই এ যুদ্ধে কোনো না কোনো ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জনযুদ্ধের চলচ্চিত্র বলতে আপনি যদি সাধারণ মানুষদের অংশগ্রহণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রের কথা বলে থাকতে চান তাহলে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের অংশগ্রহণ নিয়ে চলচ্চিত্র কম হয়েছে কিন্তু একেবারেই হয়নি সেটা ঠিক নয়।

আমার নিজের ছবির কথাই বলি। আমাদের ‘জীবনঢুলী’ চলচ্চিত্রটি একেবারেই নিম্নবর্ণের সাধারণ মানুষদের ১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতার ঘটনা। ‘নদীর নাম মধুমতী’ ছবির ঘটনাও গ্রামীণ এক সাধারণ পরিবারকে নিয়ে।

আমাদের তৈরি ‘১৯৭১’ মেগা প্রামাণ্যচিত্রটিতে প্রচুর সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার, কথা ও দৃশ্য রয়েছে। নির্যাতিতা নারীদের মধ্যে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী ছাড়া আর সবাই তো নিম্নবর্গের সাধারণ মানুষ।

গণহত্যার যেসব প্রত্যক্ষদর্শী ও গণহত্যা-থেকে-বেঁচে-যাওয়া মানুষদের সাক্ষাৎকার ‘১৯৭১’ ছবিটিতে রয়েছে তারাও অধিকাংশই সাধারণ মানুষ।

অন্য আরও কিছু ছবিতে বিষয়টি আছে। ফলে সাধারণ জনগণের চলচ্চিত্রায়ন যে মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলোতে একেবারেই হয়নি সেটা ঠিক নয়। তবে আরো হওয়া কাম্য ছিল।

গ্লিটজ: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আমরা অনেক ধরণের রাজনৈতিক মতের মানুষের এক অসামান্য ঐক্য লক্ষ্য করি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কোনো কাহিনি চলচ্চিত্রে রাজনৈতিক ভিন্নতার স্বর শুনতে পাওয়া যায় না। কেন?

তানভীর মোকাম্মেল: আপনার অনুযোগটি সঠিক। রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন মতের মানুষেরা যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন সে বিষয়টি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলিতে তেমন আসেনি।

আসলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সমাজবাস্তবতার ভিত্তিতে বা রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে কাহিনিছবি খুব কি তেমন তৈরি হয়েছে? তবে আমার ‘হুলিয়া’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে এক বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মীর বয়ানে মুক্তিযুদ্ধের কথা আছে। মওলানা ভাসানী, মণি সিং, এঁদের কথা আছে।

‘১৯৭১’ প্রামাণ্যচিত্রটিতে বরিশালের পেয়ারাবাগানে যে চরমপন্থী সিরাজ শিকদারের সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় ছিল সে ঘটনার উল্লেখ আছে। আর আমার আগামী কাহিনিছবি ‘রূপসা নদীর বাঁকে’-তে বামপন্থীদের অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধকে দেখা হবে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ ছবির শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে।

তবে একটা বিষয় বুঝতে হবে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষেরা অংশ নিলেও তারা সবাই কিন্তু মূলতঃ একটা ঐক্যমতের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সে ঐক্যমতটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে নেতা হিসেবে মানা ও তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃত্বকে মেনে যুদ্ধ করা।

গ্লিটজ: মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সকল চলচ্চিত্রেই বাঙালির প্রাধান্য দেখা গেছে। আমাদের অপরাপর জনগোষ্ঠীর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ বিষয়ে কোনো দৃশ্যায়ন নেই কেন?

তানভীর মোকাম্মেল : ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধ ছিল মূলতঃ বাঙালিদের একটা নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বাঙালি জাতীয়তাবাদী সশস্ত্র সংগ্রাম। স্লোগানও ছিল ‘জয় বাংলা’। ফলে মুক্তিযুদ্ধে, এবং মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রে, বাঙালিদের প্রাধান্য থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

তবে বাঙালি ছাড়াও বাংলাদেশের অপরাপর জনগোষ্ঠীর কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধে। রংপুর-দিনাজপুরের সাঁওতালেরা তাদের তীরধনুক নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণে অংশ নিয়েছিল। এসব জাতিসত্ত্বার কথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রে অবশ্যই আসা উচিৎ। আমার ‘১৯৭১’ প্রামাণ্যচিত্রটিতে চাকমা মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার ও কথা আছে।

গ্লিটজ: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা খুব বহুল প্রচারিত শব্দ। এই শব্দের অন্তর্গত অর্থ আপনার কাছে কেমন?

তানভীর মোকাম্মেল: কয়েকটা সুনির্দিষ্ট ভাবাদর্শগত চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করা হয়েছিল। দীর্ঘ চব্বিশ বছর সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এসব চেতনা গড়ে উঠেছিল এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের সংবিধানে সেসব চেতনার নির্যাসগুলি রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। সে নীতিগুলো হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র অভিমুখীন এক রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আমি মূলতঃ এই চেতনাকেই বুঝি এক আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ।

গ্লিটজ: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কী মানুষের ‘মুক্তি’ দিতে পেরেছে ?

তানভীর মোকাম্মেল : দেখেন, ‘মুক্তি’ কথাটা খুব ব্যাপক। তাছাড়া ‘মুক্তি’ কথাটার তাৎপর্যও একেক জনের কাছে একেক রকম। আমি মনে করি মানুষের উপর কোনো রকম শোষণ বা শাসন না থাকলেই কেবল মানুষের মুক্তি সম্ভব।

ভালো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম হলে মানুষের উপর রাষ্ট্রীয় শাসন অনেকটাই কমে আসবে এবং মানুষ কিছুটা মুক্ত তো হবেই, যেমনটি পশ্চিমের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে হয়েছে।

তবে প্রকৃত মানুষের মুক্তি আসবে তখনই যখন মানুষ নানা রকম অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্ত হবে। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সেটা সম্ভব নয়। এখানে অর্থ মানুষকে দাস করে রাখে। সে মুক্তি আসতে পারে কেবল অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারলে।

তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়াও একটা বড় ব্যাপার। আমাদের নিজেদের একটা রাষ্ট্র তো হয়েছে। এখন এ রাষ্ট্রের ভেতরে একটা ভালো গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা বা সমাজটাকে অর্থনৈতিক সাম্যের পথে চালিত করা এ আমাদের সবার দায়িত্ব।

আমার ‘হুলিয়া’ ছবিতে বামপন্থী-রাজনীতি-করা যুবকটি তার রাজনৈতিক সহকর্মীদেরকে বলেছিল, “পরাধীন দেশে সমাজতন্ত্র হয় না। সমাজতন্ত্রের পথ অনেক লম্বা। এ পথে একেক সময় একেক রকম লড়াই। এখনকার লড়াই দেশ স্বাধীন করা।”

সবার আগে তাই প্রয়োজন দেশকে স্বাধীন করা। সেটা তো হয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিঃসন্দেহে মানুষের সামগ্রিক মুক্তির লক্ষ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

গ্লিটজ: আমাদের চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের বয়ান মোটা দাগে, একরৈখিক। কেন? এটা কী নির্মাতাদের সামর্থের ঘাটতি না কী রাজনৈতিক ভীতি ?

তানভীর মোকাম্মেল:  ইতিহাসের নানা বয়ান থাকে। একটা থাকে মূল জাতীয় বা শাসকশ্রেণির বয়ান। আর থাকে নানা মাঝারি ও ছোট বয়ান। একজন শিল্পীকে যেহেতু বিমূর্ত তত্ত্ব নিয়ে নয়, সজীব মানুষদের নিয়ে কাজ করতে হয়, তাই তাকে এই সবগুলো বয়ান সম্পর্কেই সচেতন থাকতে হয়।

তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার চল্লিশ বছরের মধ্যে প্রায় পঁচিশ বছরই দেশটার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল এমন সব শক্তি যারা মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে উৎসাহী তো ছিলই না, বরং অনেকে সরাসরিই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল।

আমার তৈরি ‘নদীর নাম মধুমতী’কে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অন্যান্য আরো অনেক ছবির উপর সেন্সর নানা বাধা চাপিয়ে দিত। প্রায় দুই বছর হাইকোর্টে মামলা করে ‘নদীর নাম মধুমতী’ ছবিটা আমাকে রিলিজ করতে হয়েছিল।

এসব সময়কালে মুক্তিযুদ্ধের ভেতরের সূক্ষ্ম বয়ানের দিকগুলি তো বটেই, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কোনো রকম ছবি তৈরি করাই, কঠিন ছিল।

তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটাই যেহেতু ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা ছিল ফলে মুক্তিযুদ্ধের একটা সার্বিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাটা জরুরি ছিল। সে কারণেই আমি সাত বছর পরিশ্রম করে ‘১৯৭১’ মেগা প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করি যে ছবিতে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের একটা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সিনেমার পর্দায় দেখতে পারবেন।

তবে মুক্তিযুদ্ধের নানা সূক্ষ্ম দিকগুলি নিয়ে ছবি তৈরি করাটা আজ জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে সূক্ষ্ম দিকগুলি নিয়ে যে একেবারেই কাজ হয়নি তা নয়। ‘রাবেয়া’ ছবিটিতে ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে গ্রামীণ আধা-সামন্ততান্ত্রিক বাঁধনে বাঁধা নারীর মুক্তির বিষয়টাও আছে। ‘জীবনঢুলী’ ছবিটিতে নিম্নবর্গের মতুয়া শ্রেণির ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা আছে যারা মোটেই সমাজের মূলধারা নয়, বা তাদের ইতিহাস আমাদের শাসকশ্রেণির জাতীয় ইতিহাসের একরৈখিক মূল বয়ানও নয়।

গ্লিটজ: কাহিনিচিত্রগুলোর চেয়ে প্রামাণ্যচিত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের বহুস্তরের গল্প এসেছে। এর কারণ কী বলে আপনার মনে হয় ?

তানভীর মোকাম্মেল : ভালো গবেষণা হলেই মোটামুটি একটা ভালো প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে ফেলা সম্ভব। খুব বেশি অর্থ ও সম্পদের প্রয়োজন তেমন পড়ে না। কিন্তু কোনো কাহিনিচিত্র তৈরি করতে অনেক অর্থ, অনেক সম্পদ ও আয়োজন প্রয়োজন।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি যারা বেশি তৈরি করেন সেই বিকল্পধারার নির্মাতাদের এত অর্থ বা এত সম্পদ কখনোই থাকে না। আর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি তৈরি করার আরেক বড় সমস্যা হচ্ছে সে সময়কার অস্ত্রশস্ত্র, যানবাহন, গোলাবারুদের খুবই প্রয়োজন। অন্যথায় যুদ্ধের দৃশ্যগুলি দুর্বল রয়ে যায়।

সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া এসব দৃশ্য তোলা আসলেই সম্ভব নয়। এসব না থাকলে অ্যাকশন দৃশ্যগুলি যে দুর্বল হয়, আমি নিজেও সে ব্যাপারে ভুক্তভোগী। অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপারে সেনাবহিনী, বিডিআর, পুলিশ কারোরই কোনো সাহায্য আমি পাইনি বলে আমার ‘নদীর নাম মধুমতী’ ছবিটির অ্যাকশন দৃশ্যগুলি ছিল বেশ দুর্বল।

ইদানীং অবশ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলির ব্যাপারে বেশ সহায়তা করছেন। সে কারণে আমার ‘জীবনঢুলী’ বা অন্যান্যদের অনেক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবির অ্যাকশন দৃশ্যগুলো বেশ বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে।

আর বহুস্তরীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্যে ভালো কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকারও প্রয়োজন। তার অভাব আছে বাংলাদেশে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কেবল স্থূল আবেগটাই বাংলাদেশে বেশি কাজ করে। তবে আমার ধারণা মুক্তিযুদ্ধের একরৈখিক ইতিহাসটা সবার কাছে একবার গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলে তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহুস্তরীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ সহজ হয়ে উঠবে।

গ্লিটজ : ‘সীমান্তরেখা’ নির্মাণ করতে গিয়ে আপনি দুই সীমান্তের মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে অনুভবের ব্যাপারে কী তারতম্য দেখেছেন ?

তানভীর মোকাম্মেল: দেখুন, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও রক্তদানের ফলে আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি-স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৯৭১-তে যখন বাঙালিত্বের আবেগ তুঙ্গে উঠেছিল ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার মুসলমান/ আমরা সবাই বাঙালি’ এসব গান পাওয়া হোত তখন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও সমভাবে আপ্লুত হতেন।

বাংলাদেশের মানুষকে ওরা ওদের সাধ্যমতো আতিথেয়তা দিয়েছেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের জন্যে ওরা অনেক ত্যাগও স্বীকার করেছেন। কিন্তু বিনিময়ে ওরা তো কিছুই পান নি। ফলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ওদের দিক থেকে আশাহত একটা বেদনার অনুভূতি আমি লক্ষ্য করেছি।

গ্লিটজ : বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টিকে আপনি কী ভাবে দেখছেন ?

তানভীর মোকাম্মেল : বিষয়টি আমি যথেষ্ট জানি না। ফলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা আমার সমীচীন হবে না।