২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মহুয়া সুন্দরী’ মুক্তি পাচ্ছে ২০ নভেম্বর। পরীমনি ও সুমিত সেনগুপ্ত অভিনীত সিনেমাটির পরিচালক রওশন আরা নীপা।
Published : 03 Nov 2015, 02:36 PM
পরিচালক নীপা গ্লিটজকে জানালেন, সারাদেশে ১০০টি প্রেক্ষাগৃহে তারা ‘মহুয়া সুন্দরী’ সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান। ময়মনসিং গীতিকা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির মাধ্যমে তিনি নারী দর্শকদের হলে ফিরিয়ে আনতে চান।
সিনেমাটিকে ‘পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ধাঁচের’ আখ্যা দিয়ে বললেন, “শহুরে দর্শকের পাশাপাশি আমরা গ্রামের দর্শককে হলে টানতে চাই। সব শ্রেণির দর্শকের বিনোদনের কথা ভেবেই আমরা সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। আমার বিশ্বাস, দর্শকরা যারা লোকজ সংস্কৃতিকে ভালোবাসেন, ফোক নিয়ে ভাবেন, তারা অবশ্যই হলে আসবেন।”
ফোক সিনেমা নির্মাণের প্রথাগত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে ‘মহুয়া সুন্দরী’ সিনেমাটিকে নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন বলে জানালেন নীপা।
“এর আগে ‘মহুয়া সুন্দরী’ নিয়ে কাজ হয়েছে। আমরা চেয়েছি, এবার একটু অন্য ধাঁচে সিনেমাটি নির্মাণ করতে। নিজের চিন্তাধারা নিয়ে নিরীক্ষা করেছি আমি। আমি খুব স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, সিনেমাটি কোনোভাবেই কপি সিনেমা না। সিনেমাটি মৌলিক গল্পে নির্মিত হয়েছে।”
নিপা বলেন, “প্রেম ও নারীর সংঘর্ষের গল্প ‘মহুয়া সুন্দরী’। মানব-মানবীর পরস্পরকে বেঁধে রাখার মূল সূত্র হল প্রেম। প্রেমই পারে সব সংকটের অবসান ঘটাতে, সমাজের সব বৈষম্য দূর করতে। এ সিনেমাতে আমি প্রেমকেই প্রাধান্য দিয়েছি। ভালোবাসার মানুষকে জিতে নিতে এক নারীর সংগ্রামের কথা বলতে চেয়েছি।”
গ্লিটজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরী মনি বলেছিলেন, “সরকারি অনুদানের সিনেমার সংজ্ঞা পাল্টে দেবে সিনেমাটি। একই সঙ্গে সরকারি অনুদানের সিনেমাতে বাণিজ্যিক কোনো উপাদান নেই, দর্শকের এমন ধারণা বদলে দেবে। বাজেট স্বল্পতা, গল্পের সীমাবদ্ধতা সব কিছুকে ছাপিয়ে ‘মহুয়া সুন্দরী’ একটি অন্যরকম সিনেমা হতে যাচ্ছে।”